PM Modi: সর্বদাই দেশের সঙ্গে রয়েছে দেবী কালীর আশীর্বাদ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
PM Modi on Goddess Kali: রবিবার (১০ জুলাই) রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে, স্বামী আত্মস্থানন্দের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেওয়া এক ভার্চুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন 'দেবী কালীর আশীর্বাদ সর্বদাই দেশের সঙ্গে রয়েছে। বিশ্ব-কল্যাণে এই আধ্যাত্মিক শক্তি নিয়েই এগিয়ে চলেছে আমাদের দেশ।'
নয়া দিল্লি/ কলকাতা: ‘দেবী কালীর আশীর্বাদ সর্বদাই দেশের সঙ্গে রয়েছে। বিশ্ব-কল্যাণে আধ্যাত্মিক শক্তি নিয়ে এগিয়ে চলেছে আমাদের দেশ।’ রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে, স্বামী আত্মস্থানন্দের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রবিবার (১০ জুলাই), এক ভার্চুয়াল ভাষণ দেওয়ার সময় এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের ‘সাধক ঐতিহ্য’কে স্বাগত জানিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘স্বামী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবী কালীর দর্শন পেয়েছিলেন এবং বিশ্বাস করতেন যে সবকিছুই তাঁর চেতনায় পরিব্যাপ্ত।’
এদিন, স্বামী আত্মস্থানন্দের সঙ্গে তাঁর কাটানো সময় স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি জানান, এই অনুষ্ঠান তাঁর আবেগ ও স্মৃতিকে উসকে দিয়েছে। সবসময়ই স্বামী আত্মস্থানন্দের আশীর্বাদ পেয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকার এবং তাঁর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ রাখার সুযোগ পাওয়াটা তাঁর জন্য ‘সৌভাগ্যের বিষয়’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কচ্ছের ভূমিকম্পের সময়ও, স্বামী আত্মস্থানন্দের ত্রাণ তৎপরতায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে, জানান তিনি।
রামকৃষ্ণ মিশনের সাধুদের ‘দেশের জাতীয় ঐক্যের সঞ্চালক’ বলে দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই স্বামী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কথা উল্লেখ করেন তিনি। মোদী বলেন, ‘স্বামী রামকৃষ্ণ পরমহংস ছিলেন এমনই একজন সাধক যিনি মা কালীর দর্শন পেয়েছিলেন। তাঁর সমস্ত সত্তা তিনি মা কালীর চরণে সমর্পণ করেছিলেন। তিনি বলতেন, এই সমগ্র জগৎ, সবকিছুই দেবী-চেতনায় পরিব্যাপ্ত। এই চেতনা বাংলার কালী পুজোতেও দেখা যায়। এই চেতনা বাংলা ও দেশের মানুষের বিশ্বাসে প্রতিভাত হয়। এই চেতনা ও শক্তির রশ্মিতে স্বামী বিবেকানন্দের মতো যুগপুরুষকেও আলোকিত করেছিলেন স্বামী রামকৃষ্ণ পরমহংস। মা কালী সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দ যে আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুভব করেছিলেন, সেটাই তাঁর মধ্যে অসাধারণ শক্তির সঞ্চার করেছিল।’
স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ও আদর্শকে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে, রামকৃষ্ঠ মিশনের পক্ষ থেকে একটি বই ছাপানো করা হয়। বইটিতে ছবিতে ছবিতে স্বামীজির জীবন তুলে ধরা হয়েছে। এদিন বইটি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দ ‘সন্ন্যাস’-এর মহান ঐতিহ্যকে আধুনিক রূপ দিয়েছিলেন। স্বামী আত্মস্থানানন্দ এই রূপকে বাস্তবায়িত করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের মতো পরাক্রমশালী ব্যক্তিত্বও জগৎমাতা কালীর ভক্তিতে ছোট শিশুর মতো উত্তেজিত হতেন। স্বামী আত্মস্থানানন্দের মধ্যেও ভক্তির একই আন্তরিকতা এবং শক্তি সাধনার একই শক্তি ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে আরও জানান, সুযোগ পেলেই তিনি বেলুড় মঠ এবং দক্ষিণেশ্বরে কালী মন্দিরে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বাস খাঁটি হলে, দেবী শক্তি নিজেই পথ দেখান। আমাদের ঋষিরা দেখিয়েছেন, চিন্তাভাবনা বিস্তৃত হলে কেউ একা থাকে না।’ ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ বা ভারতে কোভিড-১৯ টিকারকরণও এই বিশ্বাসের জোরেই বহু প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।