নামজাদা খান চাচা রেস্তোরাঁয় লুকোনো ছিল বিপুল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর! হাতেনাতে ধরল পুলিশ
ইতিমধ্যেই নবনীত কালরা নামে এক ব্যবসায়ীর নাম জড়িয়েছে এই ঘটনায়। খান চাচা রেস্তোরাঁ, টাউনহল রেস্ট্রো বার-সহ একাধিক দোকান রয়েছে তাঁর খান চাচা মার্কেটে।
নয়া দিল্লি: করোনা (COVID-19) সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল গোটা দেশ। অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। কিন্তু এমন বিপদের দিনেও কালোবাজারি চলছে পুরোদমেই। ঘরে অক্সিজেনের সিলিন্ডার মজুত করে রেখে পরে তা চড়া দামে বিক্রি করছেন বাজারে। শুক্রবার দিল্লির খান মার্কেট থেকে দিল্লি পুলিশ ৯৬টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর উদ্ধার করেছে। মার্কেটের খান চাচা রেস্তোরাঁয় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল কনসেনট্রেটরগুলি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। একইসঙ্গে এলাকায় হাই প্রোফাইল রেস্তোরাঁ ‘টাউনহল’-এও তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকেও বিপুল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর উদ্ধার হয়। বহু নামজাদা রাজনীতিকের যাতায়াত এই রেস্তোরাঁয়।
#JUSTIN: 96 Oxygen Concentrators recovered from Khan Chacha Restaurant in Khan Market by the @DelhiPolice. @IndianExpress, @ieDelhi pic.twitter.com/UTtgx9XfRN
— Mahender Singh Manral (@mahendermanral) May 7, 2021
এমন ঘটনা দিল্লিতে নতুন নয়। শুধু দিল্লি কেন দেশজুড়েই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই চোরা কারবারী চক্র। এর আগে দক্ষিণ দিল্লির একটি রেস্তোরাঁ থেকে ৪১৯টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর উদ্ধারের পর শুক্রবারই খান মার্কেটের নাম করা খান চাচা রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় পুলিশ। এর আগে সকালেই খান মার্কেটের অন্য একটি দোকানেও হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেও প্রচুর কনসেনট্রেটর পাওয়া যায়। সূত্রের খবর, এই অতিমারির সময় দিল্লি পুলিশ প্রায় ৫২৪টি লুকিয়ে রাখা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর উদ্ধার করেছে।
একদিকে রাজধানীতে মানুষ যখন অক্সিজেন ও ওষুধের অভাবে প্রাণ খোয়াচ্ছেন, সেই সময় একদল অসাধু চক্র এভাবে মানুষকে প্রতারিত করছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এখানে একটি বড়সড় র্যাকেট কাজ করতে শুরু করেছে। বিস্ফোরক তথ্য, এই র্যাকেটে একাধিক নামজাদা ব্যবসায়ী ও পেজ-৩ সেলেব্রিটিরও যোগ থাকার অনুমান করা হচ্ছে। খুব শিগগিরিই হয়ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের তলব করবে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই নবনীত কালরা নামে এক ব্যবসায়ীর নাম জড়িয়েছে এই ঘটনায়। খান চাচা রেস্তোরাঁ, টাউনহল রেস্ট্রো বার-সহ একাধিক দোকান রয়েছে তাঁর খান চাচা মার্কেটে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই টুইটারে এক হাত নেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। লেখেন, ‘গরীব খান চাচা ও তাঁর পরিবারের জন্য আমার খারাপ লাগছে। প্রথমে নবনীত কালরার জন্য তাঁরা তাঁদের সুনাম হারালেন, এখন যে অপরাধ তাঁরা করেননি তার জন্য তাঁদের কাদা মাখানো হচ্ছে।’