Abhishek on Yashwant: ‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে…’, যশবন্তকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করায় গর্বিত অভিষেক

Abhishek Banerjee: যশোবন্ত সিনহাকে বেছে নেওয়ায় গর্বিত অভিষেক বলেন, "আমাদের এমন কেউ আছেন, যিনি আমাদের সংবিধানের মৌলিক বিষয়গুলিকে তুলে ধরতে পারেন। যশোবন্ত সিনহার মতো কাউকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত করতে দেখা খুব গর্বের বিষয়।"

Abhishek on Yashwant: 'হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে...', যশবন্তকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করায় গর্বিত অভিষেক
যশোবন্তকে বাছায় গর্বিত অভিষেক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2022 | 9:48 PM

কলকাতা ও নয়া দিল্লি : এমনটা যে হতে চলেছে, তার আভাস আগে থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাজধানীতে অবিজেপি দলগুলির বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় যশবন্ত সিনহাকে। বিরোধীরা সর্বসম্মতিক্রমে বেছে নেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতাকে। আর রাজধানী বিরোধী দলগুলি যখন এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তখন তৃণমূলের তরফে সেখানে প্রতিনিধি ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীতে মমতার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে থাকতে দেখা গিয়েছে অভিষেককে। কিন্তু মমতার অনুপস্থিতিতে দলের প্রতিনিধিত্ব করে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অংশীদার হতে আগে দেখা যায়নি অভিষেককে।

রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহাকে বিরোধীরা সর্বসম্মতিক্রমে বেছে নেওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভারতের সামাজিক কাঠামোকে সুরক্ষিত করা দরকার। যশবন্ত সিনহাকে বেছে নেওয়ায় গর্বিত অভিষেক বলেন, “আমাদের এমন কেউ আছেন, যিনি আমাদের সংবিধানের মৌলিক বিষয়গুলিকে তুলে ধরতে পারেন। যশবন্ত সিনহার মতো কাউকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত করতে দেখা খুব গর্বের বিষয়। সব সমমত সম্পন্ন দলগুলি তাঁকে প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করেছে। আমাদের নিজেদের মধ্যে পার্থক্য এবং অহং বোধকে দূরে রেখে দেশের বৃহত্তর লক্ষ্য, বিশেষ করে ভারতবাসীর সামাজিক ও গণতান্ত্রিক স্বার্থের জন্য একজোট হতে হবে।”

অভিষেক এদিন জানিয়েছেন, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার আজ সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। অভিষেকের কথায়, “এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলির প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। প্রবাদটি সত্য প্রমাণিত হয়েছে যে, “বাংলা আজ যা ভাবছে, ভারত আগামিকাল ভাবছে।”

উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের ক্ষমতা বিস্তারের পর্ব শুরু হতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে বসিয়েছেন অভিষেককে। সাম্প্রতিক অতীতে বাংলার বাইরে সংগঠন বিস্তারে বিশেষ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিষেককে। এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেখা গেল অভিষেককে।