অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়েও জড়িয়ে ধরছে কাজ হারানোর ভয়
গত বছর গোটা দেশে দীর্ঘ লকডাউনে (Lockdown) সব থেকে বেশি ভুগতে হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। পায়ে হেঁটে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঘরে ফিরেছিলেন তাঁরা।
নয়া দিল্লি: বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলছে ভারত। করোনার (COVID-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাজ হারালেন ৭০ লক্ষ মানুষ। করোনা অতিমারি এ দেশের বুকে থাবা বসানোর পর থেকেই ক্রমে গ্রাস করেছে অর্থনৈতিক মন্দা। মার্চ মাসে ভারতে কর্মসংস্থানের হার তলানিতে নেমে গিয়েছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক রাজ্য লকডাউন ঘোষণা করেছে। যে সব রাজ্যে পুরোপুরি লকডাউন হয়নি, সেখানেও জারি হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। ফলে ধাক্কা লেগেছে জীবন-জীবিকায়। গত বছর করোনার প্রকোপে চাকরি হারিয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। চলতি বছর দ্বিতীয় ঢেউয়ে দীর্ঘ হচ্ছে বেকারত্বের সেই ছায়া।
এপ্রিল মাসের শুরু থেকে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি জানাচ্ছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহও কাটেনি, বেকারত্বের হার ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। মার্চ মাসে বেকারত্ব বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৬ শতাংশ। এপ্রিলে তা বেড়ে হয়েছে ৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: নামজাদা খান চাচা রেস্তোরাঁয় লুকোনো ছিল বিপুল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর! হাতেনাতে ধরল পুলিশ
গত বছর গোটা দেশে দীর্ঘ লকডাউনে সব থেকে বেশি ভুগতে হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। পায়ে হেঁটে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঘরে ফিরেছিলেন তাঁরা। মাঝ রাস্তায় প্রাণও হারিয়েছিলেন অনেকে। এ বারও সেই একই পরিস্থিতির মুখে পড়ার ভয়ে ইতিমধ্যেই শহর ছাড়তে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের কর্মজীবনও ফের অনিশ্চিত। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পর ২০২১ সালের মার্চে কর্মসংস্থান সর্বাধিক দ্রুত গতিতে হ্রাস পেয়েছে। এক সমীক্ষায় এই তথ্য দিয়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণারত সংস্থা আইএইচএস মার্কিট (IHS Markit)। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কনজিউমার কনফিডেন্স সার্ভে একই ছবি তুলে ধরেছে। অর্থাৎ গত বছরের পর এবারও জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে। এ হুমকি অতিমারির হুমকি!