Boiling Oil: সতীত্বের পরীক্ষা দিতে গরম তেলে হাত ডোবাতে নির্দেশ চার বাচ্চার মাকে!
চিত্তুর জেলার ওই আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে সাত সকালেই আয়োজন করা হয়েছিল সতীত্বের পরীক্ষার। এ জন্য বড় একটি পাত্রে পাঁচ লিটার তেল গরম করা হয়েছিল। ফুল তা সাজানোও হয়েছিল। গ্রামের মাতব্বররাও হাজির ছিলেন সেখানে। সতীত্বের পরীক্ষা দেখতে ভিড়ও জমেছিল। এই খবর পৌঁছে যায় সরকারি আধিকারিকের কাছে। তাঁরা এসে ওই মহিলাকে গরম তেলে হাত ডোবানো থেকে বিরত করেন।
চিত্তুর: তাঁর বয়স ৫০ বছর। চার সন্তানের জননী তিনি। তাঁর চরিত্র নিয়েই সন্দেহ রয়েছে স্বামীর। তাই স্ত্রীর কাছে সতীত্বের পরীক্ষা নিতে চেয়েছিলেন তিনি। সে জন্য আদিবাসী সমাজের সকলের সামনে স্ত্রীকে গরম তেলে হাত ডুবিয়ে দিতে হত সতীত্বের পরীক্ষা। সেই মতো ৫ লিটার তেল গরম করা হয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনার খবর পৌঁছে যায় সরকারি আধিকারিকদের কাছে। তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ওই আদিবাসী মহিলাকে উদ্ধার করেন। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর জেলার থাতিথপ্পু গ্রামে।
চিত্তুর জেলার ওই আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে সাত সকালেই আয়োজন করা হয়েছিল সতীত্বের পরীক্ষার। এ জন্য বড় একটি পাত্রে পাঁচ লিটার তেল গরম করা হয়েছিল। ফুল তা সাজানোও হয়েছিল। গ্রামের মাতব্বররাও হাজির ছিলেন সেখানে। সতীত্বের পরীক্ষা দেখতে ভিড়ও জমেছিল। এই খবর পৌঁছে যায় সরকারি আধিকারিকের কাছে। তাঁরা এসে ওই মহিলাকে গরম তেলে হাত ডোবানো থেকে বিরত করেন।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার চরিত্র নিয়ে প্রায়শই সন্দেহ করতেন স্বামী। এ নিয়ে অতীতে প্রায়শই তাঁকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরেই এই চলার পর ওই গ্রামের প্রাচীন রীতি মেনে সতীত্বের পরীক্ষা দিতে নামানো হয়েছিল ওই মহিলাকে। কিন্তু বরাত জোরে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে কোনও পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে ওই সম্প্রদায়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্য দিকে ওই মহিলার স্বামী এবং গ্রামের মাতব্বরদের ডেকে কাউন্সেলিং করানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।