Assam Flood: রাস্তা দিয়ে বইছে জল, বাতিল ১৭ রুটের ট্রেন, বন্যা কবলিত অসম যেন মৃত্যুপুরী

Assam: বর্ষা প্রবেশের আগেই বন্যায় ভাসছে প্রতিবেশী রাজ্য। বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে অসমে।

Assam Flood: রাস্তা দিয়ে বইছে জল, বাতিল ১৭ রুটের ট্রেন, বন্যা কবলিত অসম যেন মৃত্যুপুরী
অসমে বন্যা কবলিত ২ লক্ষ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2022 | 3:44 PM

গুয়াহাটি : ভয়াবহ পরিস্থিতি অসমে (Assam)। বন্যার জেরে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে সে রাজ্যের মানুষের দৈনন্দিন জীবন। ইতিমধ্যে বরাক উপত্যকার সঙ্গে বিছিন্ন হয়ে রেল ও সড়ক যোগাযোগ। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

বর্ষার প্রবেশের আগেই বন্যায় ভাসছে প্রতিবেশী রাজ্য। বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে অসমে। প্রবল বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গিয়েছে অসম ও অরুণাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার অরুণাচল প্রদেশে পাঁচজন এবং অসমে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কাছাড় জেলায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত অসমে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সূত্রের খবর, বন্যা ও ধসের কারণে গুয়াহাটি-শিলচর এক্সপ্রেস ডিমা হাসাও-তে নিউ হাফলং স্টেশনে আটকে পড়েছে। অন্তত ১০০-র বেশি যাত্রীকে এয়ারলিফট করে উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ১৭ টি রুটে ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বন্যায় ইতিমধ্যেই ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরমধ্যে কাছাড় জেলায় ২ জন আর ডিমা হাসাওতে ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। হোজাইতে প্রায় ৮০ হাজারের বেশি মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। অন্যদিকে, কাছাড়ে বন্যা কবলিত প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ।

জানা গিয়েছে, বন্যা ও ভূমি ধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নিউ হাফলং রেলওয়ে স্টেশন। স্টেশনটি সম্পূর্ণভাবে ভেসে গিয়েছে। ধ্বংসের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, ভূমিধসের কারণে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি খালি ট্রেন লাইন থেকে ভেসে যাচ্ছে সেই ছবি ধরা পড়েছে। দু’টি ট্রেনের প্রায় ২ হাজার ৮০০ যাত্রীকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর মিলেছে। এই যাত্রীরা গত দুই দিন ধরে দিমা হাসাও -র লুমডিং-বদরপুর সেকশনে ভূমিধস এবং রেল লাইনে জলের কারণে আটকে পড়েছিলেন। প্রত্যেককেই গতকাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

বস্তুত, অরুণাচল প্রদেশের অবস্থাও ভয়ঙ্কর। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশে দু’টি পৃথক ভূমিধসে মোট পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ছয় জন। সোমবার ৪১৫ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ইটানগর এবং নাহারলাগুনের মধ্যে মোদিরিজো গ্রামে বেশ কয়েকটি বাড়ি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। এদিকে শনিবার থেকে অসমের বারাক উপত্যকাও কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে।