AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Assam: ‘অসমের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত’, নতুন চারটি জেলা গঠন করেও পিছল হিমন্ত সরকার

জেলাগুলি সংযুক্ত হলেও পুলিশ এবং বিচারব্যবস্থা একই থাকবে। এমনকি নতুন জেলা গঠনের সময় যে সমস্ত সরকারি অফিস খোলা হয়েছিল সেগুলিও একই থাকবে, যাতে কোনও সরকারি আধিকারিক বা কর্মীকে সমস্যায় পড়তে না হয়।

Assam: 'অসমের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত', নতুন চারটি জেলা গঠন করেও পিছল হিমন্ত সরকার
ফাইল ছবি (সৌজন্যে: টুইটার)
| Edited By: | Updated on: Dec 31, 2022 | 6:21 PM
Share

গুয়াহাটি: অসমের জেলার সংখ্যা কমছে। নবগঠিত চারটি জেলা সংযুক্ত করা হচ্ছে। ফলে অসমের জেলার সংখ্যা ৩৫ থেকে কমে দাঁড়াচ্ছে ৩১। বর্ষশেষে, শনিবার অসম মন্ত্রিসভায় এই বিল পাশ হয়েছে। খবরটি জানিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, অসম ও সমাজের কথা ভেবে এবং প্রশাসনিক কাজকর্মের সুবিধার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা চারটি জেলা পুনরায় যুক্ত করছি। অসমের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অসম প্রশাসন সূত্রে খবর, নবগঠিত বিশ্বনাথ জেলাটি সংযুক্ত হচ্ছে সোনিতপুরের সঙ্গে, হোজাই জেলা সংযুক্ত হচ্ছা নাগাঁওয়ের সঙ্গে, তামুলপুর জেলা সংযুক্ত হচ্ছে বাক্সার সঙ্গে এবং বরপেতা জেলার সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে বাজালি জেলা। জেলাগুলি সংযুক্ত হলেও পুলিশ এবং বিচারব্যবস্থা একই থাকবে। এমনকি নতুন জেলা গঠনের সময় যে সমস্ত সরকারি অফিস খোলা হয়েছিল সেগুলিও একই থাকবে, যাতে কোনও সরকারি আধিকারিক বা কর্মীকে সমস্যায় পড়তে না হয়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারির আগেই নতুন জেলার সীমানা নির্ধারণ করা হল বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, অসমের বিধানসভা এবং সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার সীমাবদ্ধতা শুরু করেছে এবং কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের অনুরোধে আসন পুনর্বিন্যাস করার জন্য ২০০১ সালের আদমশুমারির পরিসংখ্যান ব্যবহার করা হবে।

যদিও অসম সরকারের জেলা সংযুক্তিকরণের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলগুলি। তাদের অভিযোগ, অসমে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কেন্দ্রগুলিতে বিকল্প পথ খোঁজার চেষ্টা করছে বিজেপি। ওই সমস্ত শহরে ২০০১ ও ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, অসমে ৩.৩ শতাংশ মুসলিম জনগণ বেড়েছে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।