CDS Anil Chouhan: LAC থেকে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের নেতৃত্ব, নতুন CDS-র অভিজ্ঞতার ঝুলিতে কী কী সাফল্য রয়েছে জানেন?
CDS Anil Chouhan: গত বছরই সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন অনিল চৌহান। কিন্তু তাঁর ৪০ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেই জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে মিলিটারি পরামর্শদাতা পদে নিয়োগ করা হয়।
নয়া দিল্লি: অবশেষে পাওয়া গেল বিপিন রাওয়াতের উত্তরসূরীকে। দেশ পেল নতুন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ। বুধবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহানের নাম ঘোষণা করা হয় ভারতের পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক বা সিডিএস হিসাবে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর সুলুরে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তৎকালীন সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পর থেকেই বিগত নয় মাস ধরে সিডিএস পদটি ফাঁকা পড়েছিল।
পরম বিশেষ সেবা পদক, উত্তম যুদ্ধ সেবা পদক, সেনা পদক, বিশেষ সেবা পদক সহ সেনাবাহিনীর একাধিক পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহানকে দেশের পরবর্তী চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হিসাবে বেছে নেওয়ার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। এর মধ্যে অন্যতম হল তাঁর অভিজ্ঞতা। ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী- সামরিক সেনা, নৌ বাহিনী ও বায়ুসেনার মধ্যে কাজে সমন্বয় আনার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল এই সিডিএস পদটি। বিপিন রাওয়াতই প্রথম এই পদে বসেন। সেই সময়ও বিপিন রাওয়াতকে বেছে নেওয়ার পিছনে সেনাবাহিনীতে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকেই তুলে ধরা হয়েছিল। ৬১ বছর বয়সী লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহানও দীর্ঘ সময় ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁকে চিন বিশেষজ্ঞও বলা হয় সামরিক ক্ষেত্রে চিন সম্পর্কে জ্ঞানের কারণে। বর্তমানে তিনি সামরিক বিভাগের সচিব হিসাবেও দায়িত্ব পালন করবেন।
পুলওয়ামা হামলার বদলা নিতে ভারত যখন ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালায় এবং জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের ঘাঁটি উড়িয়ে দেয়, সেই সময়ও সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন অনিল চৌহান। চারটি তারকা প্রাপ্ত এই অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলই বর্তমানে ভারতের দ্বিতীয় চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হতে চলেছেন।
জানা গিয়েছে, গত বছরই সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন অনিল চৌহান। কিন্তু তাঁর ৪০ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেই জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে মিলিটারি পরামর্শদাতা পদে নিয়োগ করা হয়। উল্লেখ্য, এই নিরাপত্তা কাউন্সিলের নেতৃত্বে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
কী কী সাফল্য রয়েছে নতুন সিডিএসের ঝুলিতে?
- ১৯৮১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনীর ১১তম গোর্খা রাইফেলসে কাজ করেছেন।
- জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্ব ভারতে একাধিক জঙ্গি দমন অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
- বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের অন্যতম নেতৃত্ব ছিলেন তিনি।
- ইস্টার্ন আর্মি কম্যান্ডার হিসাবে তিনি অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য সদা প্রস্তুত থাকার প্রশিক্ষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন।