BJP Leadership: ভরসা ‘প্রাক্তন’দের উপরেই, নির্বাচনের আগেই নতুন দায়িত্ব পেলেন রূপাণী-জাভারেকর
BJP: চলতি বছরেই নির্বাচন রয়েছে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে। ওই দুই রাজ্যে নজর দেওয়ার পাশাপাশি যে রাজ্যগুলিতে বিজেপির ভিত একটু আলগা হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বিশেষ নজর দিচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
নয়া দিল্লি: কেউ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কেউ আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিগত ১ বছরের মধ্যেই সকলে খুইয়েছেন বা মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গুরু দায়িত্বের। তারপর থেকে হাত গুটিয়েই বসে থাকতে হয়েছে এই সমস্ত নেতাদের। এবার তাদেরই ফের একবার নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ দিল বিজেপি। একাধিক রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন নেতাদের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হল। ঘটনাচক্রে এরা সকলেই হয় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আসন্ন নির্বাচনগুলিতে বিরোধী শিবিরকে চাপে রাখতেই এই নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবারই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা একটি নামের তালিকা প্রকাশ করেন, যেখানে দলীয় নেতাদের বিভিন্ন রাজ্য সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নাড্ডা জানান, গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী এবার থেকে পঞ্জাব ও চণ্ডীগঢ়ের বিজেপি সংগঠনের দায়িত্ব সামলাবেন। অন্যদিকে, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে হরিয়ানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে প্রকাশ জাভারেকরকে কেরলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মহেশ শর্মাকে দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার দায়িত্ব।
চলতি বছরেই নির্বাচন রয়েছে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে। ওই দুই রাজ্যে নজর দেওয়ার পাশাপাশি যে রাজ্যগুলিতে বিজেপির ভিত একটু আলগা হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বিশেষ নজর দিচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব। চলতি বছরেই পঞ্জাবে ঝড় তুলেছে আম আদমি পার্টি। কংগ্রেসকে হারিয়ে সেখানে সরকার গড়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের দল। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির যে শোচনীয় ফল হয়েছিল, তর সংশোধন করতেই এবার গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীকে দায়িত্ব দেওয়া হল।
হরিয়ানায় বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও, ২০১৯ সালের নির্বাচনে বেশ কিছু আসন খোয়াতে হয়েছিল। আগামী ২০২৪ সালে ফের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এবার আসন সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যেই ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে,কেরলে নিজের অস্তিত্ব গড়তেই কঠিন লড়াই করতে হচ্ছে বিজেপি। সেই কারণেই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ তখা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভারেকরকে ওই রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস অন্য়তম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠায়, মহেশ শর্মাকে ওই রাজ্য সামলানোর ভার দেওয়া হয়েছে। বিহারের দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে। পশ্চিমবঙ্গে বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডেকে দলের ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও একই পদে কাজ করবেন।