Caste Based Census: বিহারে শুরু হল জাতি ভিত্তিক শুমারি, ‘সবাই উপকৃত হবেন’ দাবি নীতীশের

Nitish Kumar: বিহারে আয়োজন করা হয়েছে সমাধান যাত্রার। শুক্রবার এই যাত্রায় যোগ দিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, "জাতি ভিত্তিক জনগণনায় সমাজের সকল স্তরের মানুষ উপকৃত হবেন।"

Caste Based Census: বিহারে শুরু হল জাতি ভিত্তিক শুমারি, 'সবাই উপকৃত হবেন' দাবি নীতীশের
নীতীশ কুমার। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2023 | 11:30 AM

পটনা: দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে পূরণ। আজ থেকে বিহারে (Bihar) শুরু হচ্ছে জাতিশুমারি (Caste Based Census)। দীর্ঘদিন ধরেই  জাতি ভিত্তিক জনগণনার দাবি জানিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সেই দাবি মেনেই আজ থেকে শুরু হচ্ছে গণনা। শুক্রবারই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জাতি ভিত্তিক এই শুমারিতে উপকৃত হবেন সমাজের সমস্ত শ্রেণির মানুষই। এই গণনার উদ্দেশ্য হল সমাজের পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষের জন্য যাতে উন্নয়নমূলক কাজ করা যায়।”

বিহারে আয়োজন করা হয়েছে সমাধান যাত্রার। শুক্রবার এই যাত্রায় যোগ দিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, “জাতি ভিত্তিক জনগণনায় সমাজের সকল স্তরের মানুষ উপকৃত হবেন। এতে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে মানুষের জন্য সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করতে সক্ষম হবে। এই জনগণনা শেষ হওয়ার পর চূড়ান্ত রিপোর্ট কেন্দ্রেও পাঠানো হবে।”

তিনি আরও বলেন, “জাতি ভিত্তিক গণনায় আসলে সমস্ত জাতি ও ধর্মের মানুষদের গণনা করা হবে। সঠিক ভিত্তিতে যাতে জাতি শুমারি হয়, তার জন্য আধিকারিকদের সঠিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।”

সরকারি সূত্রে খবর, দুই ধাপে এই জাতি ভিত্তিক শুমারি বা জনগণনা করা হবে। আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম দফার গণনা শেষ হবে। এতে রাজ্যে কত পরিবার রয়েছে, তা গণনা করা হবে। জনগণনার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে মার্চ মাস থেকে। এতে রাজ্যের সমস্ত নাগরিকদের জাতি, বর্ণ ও ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত তালিকা তৈরি করা হবে। ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে এই জাতি শুমারির কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে। জাতি ভিত্তিক গণনার জন্য সরকারের ৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে।

এই জাতি ভিত্তিক শুমারির জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে জেলা স্তরে, ধাপে ধাপে এই শুমারি হবে। মোবাইল অ্যাপে বাসস্থান, জাতি, পরিবারের সদস্য সংখ্যা, পেশা ও বার্ষিক আয় সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্ন রয়েছে। শিক্ষক, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও জীবিকা কর্মীরা এই শুমারির কাজ করবেন।