Electoral Bond: ‘নির্বাচনী তহবিল নিয়ে জানার অধিকার নাগরিকদের নেই’, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

Electoral Bond: মূলত নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোট চারটি আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর ও সিপিএম। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে সেই মামলার শুনানি।

Electoral Bond: 'নির্বাচনী তহবিল নিয়ে জানার অধিকার নাগরিকদের নেই', সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র
প্রতীকী ছবি।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2023 | 4:18 PM

নয়া দিল্লি: নির্বাচনী বন্ডের তহবিল কোথা থেকে আসছে, তা জানার অধিকার নেই সাধারণ মানুষের। সংবিধানের অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। আজ, সোমবার শীর্ষ আদালতে এই মর্মে একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্জে আগামিকাল, মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগেই জমা দেওয়া হলফনামায় অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি উল্লেখ করলেন, ‘নির্বাচনী বন্ডের উৎস সম্পর্কে জানার অধিকার নেই সাধারণ নাগরিকদের।’

হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আর্থিক অনুদান ছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলি নানা ধরনের সাহায্য পেয়ে থাকে। মূলত নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোট চারটি আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর ও সিপিএম। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআই গাভাই, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। তার আগেই সংবিধানের অধিকারের কথা উল্লেখ করল কেন্দ্র।

অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য, সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের ফান্ড নিয়ে জানার অধিকার সাধারণ মানুষের নেই, ফলে এই নির্বাচনী বন্ড কারও অধিকার লঙ্ঘন করছে না। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে এই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্ত প্রকাশ করা হয়েছিল। নির্বাচনী তহবিলে যাতে স্বচ্ছতা থাকে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই বন্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে। তার আগেই কার্যত কেন্দ্র হলফনামায় বুঝিয়ে দিল নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মানুষের জানার অধিকার নেই।