China Spy Arrested: ঘাড় অবধি ছোট করে ছাঁটা চুল, পরনে বৌদ্ধ সাধুর পোশাক, এই মহিলাই নাকি ৩ বছর ধরে চালাচ্ছিল ‘মারাত্মক’ কাজ!

Spy Arrested: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতোই দোলমা ওরফে কাই লাল রঙের চাদর পরে থাকতেন। একদম ছোট করে চুল ছাটা ছিল। তবে এই বেশভুষা পরিচয় গোপনের জন্যই, এমনটা দাবি পুলিশের।

China Spy Arrested: ঘাড় অবধি ছোট করে ছাঁটা চুল, পরনে বৌদ্ধ সাধুর পোশাক, এই মহিলাই নাকি ৩ বছর ধরে চালাচ্ছিল 'মারাত্মক' কাজ!
ধৃত মহিলা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 7:09 AM

নয়া দিল্লি: সুস্বাদু নেপালি-চিনা-কোরিয়ান খাবার হোক বা আধুনিক জামাকাপড়, দিল্লিবাসীর অন্যতম পছন্দের গন্তব্য হল মঞ্জু কা টিলা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসের কাছেই প্রত্যেকদিনই হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। সেখান থেকেই কি চলছিল গুপ্তচরবৃত্তি? বৃহস্পতিবার মঞ্জু কা টিলার টিবেটিয়ান রিফিউজি ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার করা হল এক মহিলাকে। পুলিশের সন্দেহ, নিজেকে নেপালি বলে পরিচয় দিলেও, ওই মহিলা আসলে চিনের নাগরিক। ভারতে থেকে তিনি গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন বলেই সন্দেহ।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্য়াম্পাসের পাশে অবস্থিত মঞ্জু কা টিলা থেকেই এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো নথির ভিত্তিতে। ওই মহিলা যে পরিচয়পত্র দিয়েছিলেন, তাতে নাম লেখা দোলমা লামা। ঠিকানা নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর। কিন্তু পুলিশি তদন্তে জানা যায়, দোলমা লামা নয়, ওই মহিলার আসল নাম কাই রুয়ো। তিনি নেপালি নন, আদতে চিনের নাগরিক।

বৌদ্ধ ধর্ম অবলম্বন করে সাধু হিসাবেই ওই রিফিউজি ক্যাম্পে জীবন কাটাচ্ছিলেন বলে দাবি করেন গ্রেফতার হওয়া ওই মহিলা। পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতোই দোলমা ওরফে কাই লাল রঙের চাদর পরে থাকতেন। একদম ছোট করে চুল ছাটা ছিল। তবে এই বেশভুষা পরিচয় গোপনের জন্যই, এমনটা দাবি পুলিশের।

পুলিশ জানিয়েছে, ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে দোলমা লামার নথি নিয়ে যাচাই করতে গিয়েই জানা যায়, ওই মহিলার নাম কাই রুয়ো। ২০১৯ সালে তিনি ভারতে এসেছিলেন। তবে নেপালের পাসপোর্ট নয়, চিনের পাসপোর্ট দেখিয়েই ভারতে এসেছিলেন তিনি।

পুলিশের তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, ধৃত মহিলা জানান, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কয়েকজন নেতা তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, ইংরেজি, নেপালি ও ম্যান্ডারিন (চিনের ভাষা) বলতে পারেন ধৃত মহিলা।