Jairam Ramesh-Nitin Gadkari: গাড়ি কিনলেন কংগ্রেস সাংসদ, ‘ক্রেডিট’ পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! কী কারণে জানেন?

Jairam Ramesh-Nitin Gadkari: শনিবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালীন প্রশ্নোত্তর পর্বের একটি অংশ টুইট করে লেখেন, "২০২২ সালের মার্চ মাসে নিতিন গ়ডকরির সঙ্গে এই মত আদান-প্রদানের পরই আমি টাটা নেক্সনের ইলেকট্রিক গাড়ি কিনেছি।"

Jairam Ramesh-Nitin Gadkari: গাড়ি কিনলেন কংগ্রেস সাংসদ, 'ক্রেডিট' পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! কী কারণে জানেন?
নিতিন গড়করি ও জয়রাম রমেশ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2022 | 8:49 AM

নয়া দিল্লি: গাড়ি থেকে হওয়া জ্বালানি দূষণ নিয়ে অবগত ছিলেন, কিন্তু বিকল্প উপায় সম্পর্কে বিশেষ ধারণা ছিল না। তবে চোখ খুলে দিয়েছিল বাজেট অধিবেশনের সময় সংসদের প্রশ্নোত্তর আলোচনা পর্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পরামর্শ মেনেই তাই এবার ইলেকট্রিক গাড়ি কিনলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। শনিবার তিনি নিজেই জানান যে, ইলেকট্রিক গাড়ি কিনেছেন তিনি। এই গাড়ি কেনার পিছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করির হাত। তাঁর কথাতেই অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ি কিনেছেন।

শনিবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালীন প্রশ্নোত্তর পর্বের একটি অংশ টুইট করে লেখেন, “২০২২ সালের মার্চ মাসে নিতিন গ়ডকরির সঙ্গে এই মত আদান-প্রদানের পরই আমি টাটা নেক্সনের ইলেকট্রিক গাড়ি কিনেছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী ২০৩৫ সালের মধ্য়ে ভারতের পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ি প্রস্তুত করা বন্ধ করে দেওয়া উচিত এবং ইলেকট্রিক গাড়ির দাম অনেকটা কমানো উচিত।”

উল্লেখ্য, বাজেট অধিবেশন চলাকালীন প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ নিতিন গড়করি বলেছিলেন, ২০২১ সালে দেশের মোট গাড়ির মধ্যে কেবল ১.৪ শতাংশ ইলেকট্রিক গাড়ি ছিল। তিনি এও জানান যে, অধিকাংশ দেশই আগামী ২০৩৫ বা ২০৪৫ সালের মধ্যে দফায় দফায় পেট্রোল-ডিজেল গাড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। সেই সময় কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ প্রশ্ন করেছিলেন যে, সরকারেরও কি এই ধরনের কোনও পরিকল্পনা রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও রোডম্যাপ না থাকলে উৎপাদনকারীরা কেন পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ি উৎপাদন বন্ধ করবে, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি।

জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছিলেন, “এখনই পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ির উৎপাদন বন্ধ করার জন্য ২০৩৫ বা ২০৪০ সালকে ডেডলাই ন হিসাবে স্থির করে না এগোনোই উচিত। বর্তমানে গাড়ি কিনতে খরচ হয় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। এরপর পেট্রেলের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানেই ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য খরচ হয় মাত্র ২ হাজার টাকা। এতে কোনও শব্দও হয় না, দূষণও হয় না।”