Digene Gel: ডাইজিন জেলের নকল, বাড়িতে থাকলে সাবধান হোন

DCGI: ক্যান্সারের ইনজেকশন অ্যাডসেট্রিক্স (ADCETRIS) ও লিভারের ওষুধ ডেফিটেলিও (Defitelio) নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO -প্রথম নজরদারি শুরু করে। তাদের নিজস্ব নজরদারিতে দেখেছে বেশ কিছু নকল ওষুধ এভাবে বিক্রি হচ্ছে।

Digene Gel: ডাইজিন জেলের নকল, বাড়িতে থাকলে সাবধান হোন
ডায়াজিন জেলে বিপদ বলছে ডিসিজিআই। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2023 | 6:17 PM

নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে দেদার বিক্রি হচ্ছে নকল ওষুধ। মারণ রোগ ক্যান্সার, লিভারের অসুখ থেকে অ্যান্টাসিডেরও নকল ওষুধে ছেয়ে যাচ্ছে বাজার। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই (DCGI) এ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্নও। সমস্ত রাজ্যকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে তারা। রাজ্যগুলিকে তারা পরামর্শ দিয়েছে নকল ওষুধ নিয়ে সতর্ক হতে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, সকলকেই এ নিয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে ডিসিজিআই।

ডিসিজিআই যে ওষুধের তালিকা দিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে, তার মধ্যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে উল্লেখ রয়েছে ‘ডাইজিন’-এর। কমবেশি সব ঘরেই এই ডাইজিনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ডাইজিন জেলের ক্ষেত্রে গোলাপি কিংবা সাদা রঙের ওষুধ থাকে বিভিন্ন বাড়িতে। শরীর কিছুটা বেগতিক বুঝলেই এই অ্যান্টাসিড গলায় ঢালেন যে কেউ।

ডিসিজিআই বলছে, ডাইজিনের নকল ফাইল ঘুরছে বিভিন্ন জায়গায়। তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন ওষুধের নানা ফ্লেভার থাকে। সেইমতো গন্ধও থাকে। তবে একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে, ডাইজিন জেলের বোতল খুলতেই দুর্গন্ধ এসে নাকে লাগছে। অথচ সেই ওষুধের বোতলে থাকা মেয়াদের তারিখে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। এরকম বেশ কিছু স্যাম্পেল পরীক্ষা করে উৎপাদক সংস্থা। এরপরই দেখা যায়, সেইসব ফাইলগুলি নকল। আপাতত ওই সংস্থা এই ডাইজিন জেল উৎপাদন বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্যদিকে ক্যান্সারের ইনজেকশন অ্যাডসেট্রিক্স (ADCETRIS) ও লিভারের ওষুধ ডেফিটেলিও (Defitelio) নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO -প্রথম নজরদারি শুরু করে। তাদের নিজস্ব নজরদারিতে দেখেছে বেশ কিছু নকল ওষুধ এভাবে বিক্রি হচ্ছে। অ্যাডসেট্রিক্স ভারত-সহ একাধিক দেশে অনলাইনে বিক্রি হয়। সারা বিশ্বে যে পরিমাণ ক্যান্সার আক্রান্ত আছেন, ২০ শতাংশই আছে ভারতে। প্রায় প্রতি বছর ৭৫ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে লিভারের রোগে মারা যান ২ লক্ষ মানুষের। সেই ওষুধ যদি জাল হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে চিন্তার অবকাশ থাকে।