তুমুল বিক্ষোভের মাঝেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা কেজরীবালের, ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা

রাজ্যের আইন-শাসন ব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দিল্লিতে শাসন ব্যবস্থা আরও কঠোর হওয়া উচিত। আমি কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আইন ব্যবস্থা কঠোর করার।"

তুমুল বিক্ষোভের মাঝেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা কেজরীবালের, ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা
বিক্ষেভের মুখে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2021 | 3:08 PM

নয়া দিল্লি: দিল্লিতে ধর্ষিত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে চরম বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)। ক্ষতিপূরণ বাবদ নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্য়মন্ত্রী।

দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের পুরানা নঙ্গল এলাকার বাসিন্দা ওই দলিত নাবালিকাকে তার পরিবারের সদস্যরা ঠাণ্ডা জল আনতে পাশেই অবস্থিত একটি শশ্মানে পাঠায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গেলেও, বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও ওই নাবালিকা না ফেরায় তার পরিবারের লোকজনেরা আশেপাশে খোঁজ খবর শুরু করে। কিছুক্ষণ বাদেই এক প্রতিবেশী নাবালিকার মা’কে ডেকে মেয়ের অর্থদগ্ধ দেহটি দেখান।

শ্মশানের প্রধান পুরোহিত রাধেশ্যাম ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে। প্রমাণ লোপাট করতে জোর করে তাঁরা দেহও পুড়িয়ে দেয়। পুলিশে অভিযোগ না জানানোর জন্যও ভয় দেখানো হয়েছে ওই পরিবারকে, এমনটাই অভিযোগ। পরে নাবালিকার মা-বাবা পুলিশে অভিযোগ জানান। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ৪ জনকেই গ্রেফতার করে।

গোটা ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই উত্তাল রাজধানী। ধর্ষণ করে খুনের তিনদিন বাদে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন  মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, “আমাদের মেয়েকে তো ফিরিয়ে আনতে পারব না। ওই পরিবারের সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে, তার কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। তবুও আমাদের সরকারের তরফে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

রাজ্যের আইন-শাসন ব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দিল্লিতে শাসন ব্যবস্থা আরও কঠোর হওয়া উচিত। আমি কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আইন ব্যবস্থা কঠোর করার।” পরে তিনি টুইট করেও জানান যে, রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী নিয়োগ করা হবে যাতে ওই নাবালিকা সুবিচার পায়।

এ দিন সকালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ও আধ ঘণ্টা কথা বলেন। তিনি জানান, নির্যাতিতার পরিবারের পাশে রয়েছেন এবং সুবিচার না পাওয়া অবধি লড়াই চালিয়ে যাবেন। আরও পড়ুন: ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, রাজ্যসভায় সাসপেন্ড তৃণমূলের ৬ সাংসদ