Manish Sisodia: আবগারি নীতি নিয়ে আরও চাপে মণীশ সিসোদিয়া, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠাল সিবিআই
CBI Summon: জানা গিয়েছে, দিল্লির আবগারি নীতি নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
নয়া দিল্লি: আরও বিপাকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এবার তাঁকে সমন পাঠাল সিবিআই। জানা গিয়েছে, দিল্লির আবগারি নীতি নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠানো হয়েছে তাঁকে। আগামিকাল, সোমবার সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। সিবিআইয়ের সমন পেতেই জবাব দিয়েছেন মণীশ সিসোদিয়াও। তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে দিল্লির আপ সরকার নতুন আবগারি নীতি আনে। নতুন ওই আবগারি নীতির মাধ্যমে আপ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর তদন্তের নির্দেশ দিতেই প্রত্যাহার করা হয় নতুন আবগারি নীতি। পুরনো আবগারি নীতিই ফের চালু করা হয়। এদিকে, আবগারি নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। অগস্ট মাসে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। আদালতে সিবিআইয়ের জমা দেওয়া এফআইআরেও প্রথমেই উল্লেখ রয়েছে মণীশ সিসোদিয়ার নাম।
এদিন সকালে জানা যায়, দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইয়ের তরফে সমন পাঠানো হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। আগামিকাল সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। সিবিআইয়ের সমন হাতে পেয়েই টুইট করেন সিসোদিয়া। তিনি লেখেন, “সিবিআই আমাদের বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল, কিন্তু কিচ্ছু পায়নি। ওনারা আমার ব্য়াঙ্কের লকারেও তল্লাশি চালিয়েছেন, কিন্তু কিছু পাননি। আমার গ্রামেও তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাননি। এবার ওনারা আমায় সিবিআইয়ের সদর দফতরে ডেকেছেন। আগামিকাল সকাল ১১টায় যেতে বলা হয়েছে আমায়। আমি যাব এবং তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব। সত্যমেব জয়তে।”
मेरे घर पर 14 घंटे CBI रेड कराई, कुछ नहीं निकला. मेरा बैंक लॉकर तलाशा, उसमें कुछ नहीं निकला. मेरे गाँव में इन्हें कुछ नहीं मिला.
अब इन्होंने कल 11 बजे मुझे CBI मुख्यालय बुलाया है. मैं जाऊँगा और पूरा सहयोग करूँगा.
सत्यमेव जयते.
— Manish Sisodia (@msisodia) October 16, 2022
দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই শাসক দল আম আদমি পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে, আবগারি নীতি নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্যই মণীশ সিসোদিয়াকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালও বলেছিলেন, “কীসের দুর্নীতি? সিবিআই মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করে কিছুই পায়নি। শুধুমাত্র বিজেপি দুর্নীতির কথা বলছে বলেই যে সত্যি দুর্নীতি হয়েছে, এমন মানে নেই।”
দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে বিতর্ক:
২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর দিল্লিতে নতুন আবগারি আইন চালু করা হয়। নতুন আবগারি নীতিতে বলা হয়েছিল, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন দোকান ও সংস্থাকেও মদ তৈরি ও বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বেআইনিভাবে মদের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা এই আবগারি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই চলতি বছরের জুলাই মাসে ওই নীতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ও পুরনো নীতিই চালু করা হয়। আবগারি নীতির দুর্নীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ একাধিক আমলার নাম জড়ায়। মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সিবিআইয়ের এফআইআরেও নাম রয়েছে মণীশ সিসোদিয়ার।