Delhi Fire Accident: বহুতলে ছিল না যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, আটক সংস্থার ২ মালিক

Delhi Fire Update: রাত ১১টা অবধিই ওই পোড়া বিল্ডিং থেকে মোট ২৭টি দেহ উদ্ধার করা হয়। অধিকাংশ দেহই এতটা পুড়ে গিয়েছে যে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

Delhi Fire Accident: বহুতলে ছিল না যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, আটক সংস্থার ২ মালিক
মধ্যরাত অবধি চলে আগুন নেভানোর কাজ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2022 | 10:38 AM

নয়া দিল্লি: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রাজধানীতে। শুক্রবার বিকেলে আগুন লাগে পশ্চিম দিল্লির (West Delhi) মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি বহুতলে। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ২৭ জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরও ৪০ জনকে। তবে বিপত্তির শেষ এখানেই নয়। আগুন নেভাতে কাজে নেমেছিল দমকলের ৩০ টি ইঞ্জিন। তারা আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। বড় বিপদ এড়াতে ডাক দেওয়া হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। রাত ১২টা নাগাদ এনডিআরএফের দল ঘটনাস্থালে এসে পৌঁছয়। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতেই হঠাৎ ফের আগুনের শিখা বেরিয়ে আসতে থাকে ওই বহুতল থেকে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। শেষ খবর অনুযায়ী, আগুন সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। তবে একাধিক ব্যক্তির এখনও খোঁজ মিলছে না বলেই জানা গিয়েছে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে প্লট নম্বর ১৯৩-তে অবস্থিত একটি চারতলা বিল্ডিংয়ে আচমকা আগুন লাগে। নিমেষেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিল্ডিংয়ে। বহুতল থেকে প্রথমে কয়েকজন বেরিয়ে আসতে পারলেও, নীচে নামার একটি মাত্র সিঁড়িই আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়ায় ভিতরেই আটকা পড়ে যান বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে অনেকে বারান্দা থেকেই নীচে ঝাঁপ দেন। কেউ কেউ আবার দড়ি বেয়ে নীচে নামার চেষ্টা করেন।

আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দমকলের কয়েকটি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুন এতটাই ছড়িয়ে পড়েছিল যে দমকলের ৩০টি ইঞ্জিনও আগুন নেভাতে হিমশিম খায়। শেষ অবধি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও খবর দেওয়া হয়। রাত ১২টা নাগাদ এনডিআরএফের দল এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বিল্ডিংয়ের দ্বিতল থেকে ফের আগুনের শিখা বের হতে দেখা যায়। সাড়ে ১২টা নাগাদ সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। সারারাত ধরেই চলে উদ্ধারকাজ।

রাত ১১টা অবধিই ওই পোড়া বিল্ডিং থেকে মোট ২৭টি দেহ উদ্ধার করা হয়। অধিকাংশ দেহই এতটা পুড়ে গিয়েছে যে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। রাত দেড়টায় দমকল বাহিনীর ডিভিশনাল অফিসার সতপাল ভরদ্বাজ জানান, আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। রাতে নতুন করে আর কোনও দেহ উদ্ধার হয়নি। সকালের মধ্যে বিল্ডিংটি ঠান্ডা হলে ভিতরে ঢুকে তল্লাশি চালানো হবে। আরও মৃতদেহ উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এস শর্মা জানিয়েছেন, ওই বিল্ডিংয়ের মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই বাড়ির জন্য দমকলের কাছ থেকে সুরক্ষা ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি । বাড়ির মালিক মণীশ লাকরা পলাতক। বিল্ডিংয়ের একতলায় একটি সিসিটিভি ও রাউটার তৈরির সংস্থার অফিস ছিল। ওখান থেকেই শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আটক করা হয়েছে সংস্থার মালিক হরিশ গোয়েল ও বরুণ গোয়েলকে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। তাঁদের সাহায্যেই পোড়া দেহগুলি চিহ্নিতকরণের চেষ্টা চলছে।

এদিকে, জেলা প্রশাসনের তরফে আহতদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। একাধিক ব্যক্তির এখনও খোঁজ মিলছে না বলেই জানা গিয়েছে। পরিবারের কাছ থেকে পুলিশ নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করছে।