AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘পুরো দিল্লিই খোলা থাকবে, শুধু…’, G20 সম্মেলনের আগে বড় ঘোষণা পুলিশের

G20 summit: ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ, আগামী সপ্তাহের শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত নয়া দিল্লিতে প্রায় লকডাউনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে রিপোর্ট করেছিল বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থা। কিছু ভ্রমণ সংস্থার পক্ষ থেকেও, এই সময় দিল্লি ভ্রমণ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

'পুরো দিল্লিই খোলা থাকবে, শুধু...', G20 সম্মেলনের আগে বড় ঘোষণা পুলিশের
জি২০ সম্মেলনের আগে নয়া দিল্লির রাজঘাট এলাকায় পুলিশের কড়া প্রহরাImage Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2023 | 7:39 PM
Share

নয়া দিল্লি: আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লিতে হতে চলেছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। প্রগতি ময়দানে সদ্য উদ্বোধন হওয়া ভারত মণ্ডপমে পা রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির নেতারা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন হাজার হাজার প্রতিনিধিরা। তাঁদের নিরাপত্তা এবং মসৃণ যাতায়াত নিশ্চিত করতে, জাতীয় রাজধানী এলাকায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি রয়েছে দিল্লি পুলিশ। এই অবস্থায় ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ, আগামী সপ্তাহের শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত নয়া দিল্লিতে প্রায় লকডাউনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে রিপোর্ট করেছিল বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থা। কিছু ভ্রমণ সংস্থার পক্ষ থেকেও, এই সময় দিল্লি ভ্রমণ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর), এই জল্পনা উড়িয়ে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন নয়া দিল্লিতে প্রয়োজনীয় সকল পরিষেবা চালু থাকবে।

জি২০ শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে নয়া দিল্লি। তবে, শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন কী কী বিধিনিষেধ জারি করা হবে, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ধন্দে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। সেই ধন্দ দূর করতেই এই বিষয়ে স্পষ্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করল দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশ। এদিন তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জি২০ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন, ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্ব, সমগ্র দিল্লি খোলা থাকবে। শুধুমাত্র নয়া দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল বা এনডিএমসি-র আওতাদীন এলাকার একটা ছোট অংশে বিধিনিষেধ জারি থাকবে।

দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “আমরা দেখেছি, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে নয়া দিল্লি এলাকায় যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে, তার ভুল ব্যাখ্যা করছে কিছু সংবাদ সংস্থা। মানুষের কাছে তারা ভুল বার্তা দিচ্ছে। বিভ্রান্তিকর শিরোনাম ব্যবহার করছে। যার ফলে, জনসাধারণ এবং পাঠকদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমরা আবারও জানাতে চাই, এনডিএমসির একটি ছোট অংশে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থাগুলির কাছে আমাদের অনুরোধ, আমরা যে বিজ্ঞপ্তি জারি করছি, তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতি রেখে সঠিক বিবরণ প্রকাশ করুন। জনগণের কাছে যাতে কোনও অস্পষ্ট বার্তা না যা, সেদিকে নজর রাখুন।”

কী কী খোলা, কী কী বন্ধ?

  • ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়, নয়া দিল্লি জেলায় অনলাইনে খাবার অর্ডার করা যাবে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে এবং যান চলাচল পরিষেবা মসৃণ রাখতে অনলাইন খাদ্য বিতরণ পরিষেবার উপর বিস্তৃত বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার এসএস যাদব বলেছেন, “ক্লাউড কিচেন এবং খাবার সরবরাহ বা অ্যামাজন ডেলিভারির মতো কোনও বাণিজ্যিক পণ্য সরবরাহের অনুমতি নেই। আমরা এনডিএমসি এলাকায় বাণিজ্যিক পণ্য সরবরাহ পরিষেবা বন্ধ রাখছি।”
  • তবে ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে পরীক্ষাগারগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না।
  • শীর্ষ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে দিল্লি শহরে যান চলাচলেও ব্যাপক কড়াকড়ি থাকছে। গুরুগ্রাম ট্র্যাফিক পুলিশ জানিয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত থেকে ১০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত নয়া দিল্লিতে বাইরের জেলার যানবাহন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। পুরো নয়া দিল্লি জেলাকে ‘কন্ট্রোলড জোন-১’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রিং রোড বা মহাত্মা গান্ধী মার্গ এলাকাকে ‘রেগুলেটেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
  • যাঁরা রেল স্টেশন বা বিমান বন্দরে যাবেন, যানবাহন চলাচলের সীমাবদ্ধতার কারণে, তাদের স্বাভাবিকের থেকে বেশি সময় লাগতে পারে। কোন পথে গেলে তাদের সুবিধা হবে, তাও আলাদাভাবে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। মেট্রো পরিষেবা চালু থাকবে, তবে, সম্মেলন চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট স্টেশন বন্ধ থাকবে।
  • ৮ সেপ্টেম্বর থেকে পরের তিনদিন, রাজধানী এলাকার সকল ব্যাঙ্ক, বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকবে। এই তিনদিন গুরুগ্রামের সংস্থাগুলিকে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
  • নয়া দিল্লি জেলার হোটেল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিষেবা প্রদানকারী যানবাহনগুলিকে পরিচয় যাচাইকরণের ভিত্তিতে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।