Sanjay Raut: সাতসকালেই সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে হানা ইডির, তুলে নিয়েও যাওয়া হতে পারে, দাবি সূত্রের
ED Raid at Sanjay Raut's House: শিবসেনা নেতার বিরুদ্ধে যে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে, তার তদন্ত করছে ইডি। এই মামলায় তাঁকে একাধিকবার ইডি দফতরে তলবও করা হয়েছিল।
মুম্বই: শিবসেনা নেতা তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে হানা দিল ইডি। এদিন সকালেই মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। শিবসেনা নেতার বিরুদ্ধে যে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে, তার তদন্ত করছে ইডি। এই মামলায় তাঁকে একাধিকবার ইডি দফতরে তলবও করা হয়েছিল। প্রথমবার হাজিরা দিলেও, এরপর দুবার তাঁকে হাজিরার জন্য সমন পাঠানো হলেও, তিনি তা এড়িয়ে যান। এরপরই আজ সকালে তাঁর বাড়িতে হাজির হন ইডি আধিকারিকেরা।
সূত্রের খবর, পরপর দুবার হাজিরা এড়ানোর কারণেই সরাসরি শিবসেনা নেতার বাড়িতে হাজির হন ইডি আধিকারিকেরা। তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। মুম্বইয়ে পত্র চউল নামক একটি আবাসন প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় নাম জড়িয়েছে শিবসেনা নেতার। ওই আর্থিক বেনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাতেই ১ জুলাই তলব করা হয়েছিল সঞ্জয় রাউতকে। সেইদিন তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। টানা ১০ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেন আইনের অধীনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সেদিন তদন্তে সবরকমের সহযোগিতা করার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরে ২০ জুলাই ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলে, রাউত তাঁর আইনজীবীদের মাধ্যমে ইডিকে জানান যে, সংসদ অধিবেশন চলায় তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত। ৭ অগস্টের পরই তিনি হাজিরা দিতে পারবেন।
Mumbai | Enforcement Directorate officials at Shiv Sena leader Sanjay Raut’s residence, in connection with Patra Chawl land scam case pic.twitter.com/gFYdvR89zU
— ANI (@ANI) July 31, 2022
এদিন সকালেই সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়ে মুম্বইয়ের বান্ডুপ এলাকায় অবস্থিত সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে হাজির হন ইডি আধিকারিকেরা। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁরা রাউতের বাড়িতেই রয়েছেন। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় বাড়ি থেকে ইডি দফতরে তুলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে শিবসেনা নেতাকে। যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন ইডির আধিকারিকরা।
২০০২ সালে মুম্বইয়ের পত্র চউল নামক একটি হাউসিং কমপ্লেক্স তৈরি ঘিরেই বিপুল অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন সঞ্জয় রাউতের ঘনিষ্ঠ সহকারী প্রবীণ রাউত। ওই মামলাতেই নাম জড়িয়ে পড়ে শিবসেনা সাংসদেরও। এর আগে ইডি সঞ্জয় রাউতের স্ত্রী বর্ষা রাউতকেও জেরা করে। তাঁর নামে থাকা প্রায় ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এরমধ্যে আলিবাগে আটটি জমি ও দাদরের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করে ইডি।