FIR Against Raj Thackeray: বিপাকে এমএমএস প্রধান! এবার কি গ্রেফতার হতে পারেন রাজ ঠাকরে?

Hanuman Chalisa Row: জনসভার আগেই এমএনএস জেলা সভাপতি সুমিত খাম্বেকর এবং দলের আরেক কর্মীকে পুলিশ জানিয়েছিল, আইনের লঙ্ঘন হলে ১৪৯ ধারায় পদক্ষেপ করা হবে।

FIR Against Raj Thackeray: বিপাকে এমএমএস প্রধান! এবার কি গ্রেফতার হতে পারেন রাজ ঠাকরে?
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 1:43 PM

ঔরঙ্গাবাদ: বরাবরই তিনি বিতর্কিত চরিত্র, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্মীয় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (Maharashtra Nabanirman Sena) প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray)। অতীতেও রাজের বিরুদ্ধে বারবারই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করার অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি তিনি মহারাষ্ট্রের সব মসজিদ থেকে আজানের মাইক খুলে নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সরকারের উদ্দেশে রীতিমতো হুমকির সুরে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘৩ মে এর মধ্যে মসজিদের বাইরে থাকা সব মাইক খুলে নিতে হবে।’ গতকালই রাজের দেওয়া চরম সময়সীমা শেষ হয়েছে, তারমধ্যেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নয়া মোড়। রবিবার ঔরঙ্গাবাদের এক সভা থেকে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে এমএনএস প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির “দাঙ্গায় প্ররোচণা দেওয়া”-র অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। মসজিদের বাইরে মাইক ব্যবহার নিয়ে রাজের মন্তব্য নিয়ে পুলিশি পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজি রজণীশ শেঠ। ঔরঙ্গাবাদের পুলিশ কমিশনার ইতিমধ্যেই রাজের বক্তব্য খতিয়ে দেখছেন বলেই জানা গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, মহারাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে রাজ ঠাকরেকে গ্রেফতার করা হতে পারে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৩ হাজার জনের বিরুদ্ধে সিআরপিসির ১৪৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই জনসভা থেকে রাজ ঠাকরে রীতিমতো হুমকির সুরে তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ৪ মে থেকে মসজিদের বাইরের থাকা মাইকে আজান বাজলে পাল্টা হনুমান চলিশা বাজাতে হবে। জনসভার আগেই এমএনএস জেলা সভাপতি সুমিত খাম্বেকর এবং দলের আরেক কর্মীকে পুলিশ জানিয়েছিল, আইনের লঙ্ঘন হলে ১৪৯ ধারায় পদক্ষেপ করা হবে। সাংবাদিকদের তরফে পুলিশের ডিজির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাজের পরবর্তী সভার অনুমতি দেওয়া হবে কি না? পুলিশের শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেই যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ়

মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাটিল বলেছিলেন যে সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কোনও ধরনের পরিস্থিতি হলে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মহারাষ্ট্র পুলিশ সক্ষম। রাজ্যজুড়ে এসআরপিএফ এবং হোমগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে, কড়া হাতে তা মোকাবিলা করা হবে, তাই রাজ্যের বাসিন্দাদের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। রাজের দেওয়া চরমসীমা আজই শেষ হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন কোন দিকে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।