মড়ক! ময়লা ফেলার গাড়িতে আসছে করোনা রোগীর মৃতদেহ

এ বিষয়ে সেখানকার প্রধান স্বাস্থ্য আধিকারিককে প্রশ্ন করা হলে তাঁর দাবি, এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই কারণ মৃতের যান ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পঞ্চায়েত ও সিএমওর।

মড়ক! ময়লা ফেলার গাড়িতে আসছে করোনা রোগীর মৃতদেহ
ময়লা ফেলার গাড়িতে মৃতদেহ
Follow Us:
| Updated on: Apr 15, 2021 | 11:32 AM

ছত্তীসগঢ়: করোনায় (COVID) একেবারে বেহাল পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর গাফিলতি যেন চোকে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে করোনা অতিমারি। কোনও রাজ্যে হাসপাতালে গড়াগড়ি খাচ্ছে মৃতদেহ তো কোথাও চেয়ারে বসেই অক্সিজেন নিতে হচ্ছে রোগীকে। কোথাও আবার অক্সিজেনের অভাবেই হারাতে হচ্ছে প্রাণ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ছত্তীসগঢ়ের ছবি যেন দুঃস্বপ্ন। কারণ, সেখানে ময়লা ফেলার গাড়িতে সৎকারের জন্য যাচ্ছে করোনা রোগীর মৃতদেহ। ভয়ঙ্কর ছবিতে দেখা যাচ্ছে পিপিই কিট পরে সাফাইকর্মীরা ময়লা ফেলার গাড়ি থেকে মৃতদেহ বের করছেন।

এ বিষয়ে সেখানকার প্রধান স্বাস্থ্য আধিকারিককে প্রশ্ন করা হলে তাঁর দাবি, এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই কারণ মৃতের যান ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পঞ্চায়েত ও সিএমওর। ছত্তীসগঢ়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য প্রয়োজনীয় বেডের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। রায়পুরের সরকারি হাসপাতালের চিত্রটা আরও শোচনীয়। সেখানকার বিআর অম্বেদকর হাসপাতালের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে মৃতদেহ সংরক্ষণেরও জায়গা নেই। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফত যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক পরিবারকে অনুরোধ করেছে, করোনায় মৃত্যু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন ওই রোগীর মৃতদেহ সৎকার করা হয়। হাসপাতালের আইসিইউতেও বেড নেই। গত সপ্তাহ থেকেই সেই হাসপাতালের আইসিইউ সম্পূর্ণ ভর্তি।

বাড়তি করোনা সংক্রমণের ঠেকাতে ইতিমধ্যেই রাজনন্দগাঁওর প্রেস ক্লাবকে ৩০ শয্যার কোভিড সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই ক্লিনিকে অ্যাসিম্পটমেটিক করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে। দেশের করোনা বিধ্বস্ত ১০ রাজ্যের মধ্যে একটি ছত্তীসগঢ়। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দুর্বল চেহারা বারবার সামনে আসছে। উল্লেখ্য, বুধবার সে রাজ্যে ১৪ হাজার ২৫০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল ১২০ জনের।

আরও পড়ুন: নবরাত্রির উপবাসের পর ‘কুট্টু কা আটা’ খেয়েই বিষক্রিয়া, হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ৪০০ বাসিন্দা