Godhra train burning case: গোধরা কাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট
Godhra train burning case: ২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় সাজা প্রাপ্ত ৩১ জনের একজনকে জামিনে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট।
নয়া দিল্লি: গোধরা কাণ্ডে সাজা প্রাপ্ত ৩১ জনের একজনকে বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় মোট ৩১ জনের সাজা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, জামিন পাওয়া ওই আসামির নাম ফারুক। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমা জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে কারাবন্দি ছিল ফারুক। গোধরা কাণ্ডে, শুধুমাত্র ট্রেনে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। বেঞ্চ বলেছে, “জামিন মঞ্জুর করা হল। দীর্ঘ ১৭ বছর কেটে গিয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে তাঁর আবেদন এখনও শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন।”
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, গুজরাটের গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসের চারটি কামড়ায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ট্রেনে করেই অযোধ্যা থেকে ফিরছিলেন করসেবকরা। এই ঘটনার পরই গুজরাটের একটা বড় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সাম্প্রদায়িক হিংসা। যার জেরে হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ট্রেনে আগুন ধরানোর ঘটনায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর মধ্যে ৩১জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিম্ন আদালত। তাদের মধ্যে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, আর বাকি ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। ২০১৭ সালে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখলেও, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১১ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। এরপর সাজাপ্রাপ্তরা নিম্ন আদালত এবং হাইকোর্টের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে। সেই মামলার রায় এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
গোধরা কাণ্ডের আসামিরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালে রাজ্য সরকারও তাদের সাজা বৃদ্ধির আবেদন করেছে। এদিন, আদালতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই সমস্ত আবেদনগুলি একত্রিত করে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানির আবেদন করেছিলেন। আদালত তাঁর সেই আবেদন মেনে নিয়েছে।