Adultery: তরুণীর ‘চাপে’ ভিডিয়ো কলে নগ্ন হয়েছিলেন ব্যবসায়ী, এরপর যা পরিণতি হল…

Crime News: অভিযোগ, প্রথমে ওই তরুণী ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চান। ব্যবসায়ী পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই তরুণী বলেছিলেন, এই টাকা না পেলে ব্যবসায়ীর নগ্ন ভিডিয়ো তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবেন।

Adultery: তরুণীর 'চাপে' ভিডিয়ো কলে নগ্ন হয়েছিলেন ব্যবসায়ী, এরপর যা পরিণতি হল...
২ কোটির উপরে খোয়ালেন ব্যবসায়ী। প্রতীকী ছবি টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2023 | 11:18 PM

গুজরাট: ‘সেক্সটর্শান’-এর (Adultery) ফাঁদে পা দিয়ে আড়াই কোটির বেশি টাকা খোয়ালেন গুজরাটের এক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবারই পুলিশ বিষয়টি সামনে এনেছে। একটি ফার্ম চালান ওই ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে, গত বছর এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। গত অগস্টের ঘটনা। তরুণী নিজেকে মোরবির বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। ফোনেই প্রথম আলাপ হয় তাঁদের। এরপরই সম্পর্ক এগোতে শুরু করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ভিডিয়ো কলে কথা বলা শুরু করেন ওই ব্যবসায়ী ও তরুণী। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, “তরুণীর সঙ্গে আমার নিয়মিত কথাবার্তা চলত। এরইমধ্যে একদিন ওই তরুণী ভিডিয়ো কলে আমাকে পোশাক খোলার কথা বলেন। আমি তাতে রাজিও হয়ে যাই। এরপরই ভিডিয়ো কলটি কেটে যায়।” তারপরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেল করা।

অভিযোগ, প্রথমে ওই তরুণী ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চান। ব্যবসায়ী পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই তরুণী বলেছিলেন, এই টাকা না পেলে ব্যবসায়ীর নগ্ন ভিডিয়ো তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবেন। সামাজিক সম্মানের ভয়ে টাকা দিতে রাজিও হয়ে যান তিনি। এরপর ক্রমেই ফাঁদে জড়াতে থাকেন তিনি।

অভিযোগ, এরপর যে পথে ঘটনা এগোতে থাকে তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। ওই ব্যবসায়ী পুলিশকে জানান, ওই তরুণীকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পর দিল্লি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে তাঁর কাছে ফোন আসে। ইন্সপেক্টর গুড্ডু শর্মা বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নেন। বলেন, ভিডিয়োটি তাঁর কাছে আছে। টাকা দিলে তা আর ছড়ানো হবে না। সে টাকাও দেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, গত ১৪ অগস্ট আবারও ফোন পান। এবার দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলের থেকে ফোন করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। ৮০ লক্ষ টাকার উপরে দাবি করা হয়। কারণ হিসাবে বলা হয়, ওই তরুণী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

তদন্তকারী অফিসাররা জানান, “সেই টাকাও দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। এবার সিবিআই পরিচয় দিয়ে ফোন করা হয়। তারা বলে, তরুণীর মা কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দিয়ে তদন্ত করাতে চাইছে। সেখানে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা দেন ব্যবসায়ী।” এরপর টনক নড়ে অভিযোগকারীর। ১০ জানুয়ারি সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুলিশ স্টেশনে ১১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। ততদিনে ২.৬৯ কোটি টাকা খুইয়ে ফেলেছেন ব্যবসায়ী। আপাতত তদন্ত চলছে। এখনও কোনও গ্রেফতারির খবর নেই। তবে এতগুলো টাকা, সঙ্গে এমন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় দিশাহারা ওই ব্যবসায়ী।