BJP Leader: খুনের অভিযোগ উঠতেই বিজেপি নেতার হোটেল গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
Madhya Pradesh: মঙ্গলবার মিশ্রির হোটেলের সামনে হাজির হন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। হোটেল ভাঙার জন্য ইন্দোর থেকে একটি বিশেষ দল আনা হয়েছিল।
ইন্দোর: রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে গাড়ি চাপা দিয়ে এক যুবককে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। সেই বিজেপি নেতার হোটেলের অবৈধ নির্মাণ গুঁড়িয়ে দিল স্থানীয় প্রশাসন। খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর বিজেপিও অভিযুক্ত নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। এর পর মধ্য প্রদেশের সাগরে ওই নেতার হোটেল গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। খুনে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার নাম মিশ্রি চাঁদ গুপ্তা। জগদীশ যাদবকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর পরই জনতার রোষ গিয়ে পড়ে মিশ্রি চাঁদ গুপ্তার পরিবারের উপর। ২২ ডিসেম্বর গাড়িতে চাপা দিয়ে খুন করা হয় জগদীশকে।
মঙ্গলবার মিশ্রির হোটেলের সামনে হাজির হন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। হোটেল ভাঙার জন্য ইন্দোর থেকে একটি বিশেষ দল আনা হয়েছিল। সাগর জেলার কালেক্টর দীপক আর্য, ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল তরুণ নায়েক এবং অন্যান্য সিনিয়র অফিসাররা ছিলেন সেখানে। তাঁদের উপস্থিতিতেই বিশেষজ্ঞরা ৬০টি ডিনামাইটেরপ সাহায্যে মুহূর্তে গুঁড়িয়ে দেন ওই বিজেপি নেতার হোটেল। বিষয়টি নিয়ে দীপক আর্য বলেছেন, “এই কাজের জন্য ওই এলাকা দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল ওই এলাকা। হোটেলের আশপাশের বহুতলে থাকা বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছিল। এই কাজ করতে গিয়ে কোনও ক্ষতি হয়নি। কেবলমাত্র ওই হোটেল ভেঙেছে।”
#WATCH | MP | Police razed illegal hotel of suspended BJP leader Mishri Chand Gupta after public protest over Jagdish Yadav murder case in Sagar
“There has been no loss of any kind. Only the building was demolished,” said Collector Deepak Arya (03.01) pic.twitter.com/VsAbVhRGi8
— ANI (@ANI) January 4, 2023
জগদীশকে খুনের ঘটনায় মিশ্রি-সহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বিজেপি নেতা পলাতক। তাঁর খোঁজ এখনও অবধি পায়নি পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় পুর নির্বাচনে মিশ্রি চাঁদ গুপ্তার স্ত্রী ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু কিরণ যাদব নামের এক নির্দল প্রার্থীর কাছে ৮৩ ভোটে হেরে যান তিনি। জগদীশ কিরণের ভাইপো। রাজনৈতিক শত্রুতার থেকেই এই খুন বলে ধারণা পুলিশের।