Compensation for Loss of Pleasure : ‘যৌন সুখ থেকে বঞ্চিত’, জেল থেকে বেরিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি ব্যক্তির
Compensation for Loss of Pleasure : জেল থেকে বেরিয়ে মধ্য প্রদেশের সরকারের বিরুদ্ধে ১০,০০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের মামলা ব্যক্তির। ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন দু' বছর যৌন সুখ থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য।
রাতলাম: দীর্ঘ দু’ বছর জেল খেটেছেন মধ্য প্রদেশের রতলামের বাসিন্দা কান্তিলাল ভিল। সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগে তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আর সম্প্রতি এক স্থানীয় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছে। তারপরই দীর্ঘ দু’ বছর পর কুঠুরির বাইরে খোলা আকাশ দেখলেন ওই ব্যক্তি। আর জেল থেকে বেরিয়েই মধ্য প্রদেশের সরকারের কাছে ১০,০০৬.০২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন তিনি। এর মধ্যে ২ লক্ষ টাকা দু’ বছর সেক্স করতে না পারার জন্য চেয়েছেন। এই মর্মে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে করলেন মামলাও দায়ের করেছেন তিনি।
কান্তিলাল জানিয়েছেন, তিনি দু’ বছর জেলে থাকার সময় তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাই তিনি জেলে থাকাকালীন তাঁর পরিবারকে একপ্রকার না খেয়ে থাকতে হয়েছে বলে দাবি তাঁর। এছাড়াও তিনিও সেই সময় একটা মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন বলেও দাবি তাঁর। এই কারণে রাজ্য সরকারের কাছে বিপুল অর্থের ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন তিনি। তবে সবথেকে চমকপ্রদ হল তিনি ক্ষতিপূরণের যে হিসেব দিয়েছেন। তাঁর দাখিল করা আবেদনে যৌন সুখকে ভগবানের আশীর্বাদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং জেলে থাকাকালীন ভগবানের এই আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে তিনি ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। কান্তিলাল ভিলের আইনজীবী বিজয় সিং যাদব বলেছেন, গত বছর ২০ অক্টোবর এক স্থানীয় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে। তারপরই তিনি ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে সেশন কোর্টে আবেদন জমা দেন।
এছাড়াও মানুষের জীবন খুব মূল্যবান এই যুক্তিতে ১০,০০০ কোটি টাকা,আরও বিভিন্ন কারণে ৬.০২ কোটি টাকা এবং ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন আইনি খরচ ও মানসিক অশান্তির কারণে। তাঁর এই মামলার শুনানি আগামী ১০ জানুয়ারি হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি। এক মহিলা অভিযোগ করেন, তিনি ভাইয়ের কাছে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁকে ভাইয়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করেন কান্তিললা ভিল। তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন অন্য এক ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দেন কান্তিলাল। তিনি ওই মহিলাকে ছয়মাস ধরে ধর্ষণ করে তাঁকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছিলেন মহিলা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় তাঁর বাড়িতে ছিলেন বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও তাঁদের তিন সন্তান। আর তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন ওই ব্যক্তিই। ফলে তিনি জেলে থাকাকালীন চরম দুর্দশায় দিন কেটেছে গোটা পরিবারের। তাই ক্ষতিপূরণের দাবি তাঁর।