ICMR: হ্যাক হয়েছিল এইমস-এর সার্ভার, আইসিএমআর-এর সাইটে ৬০০০ বারের চেষ্টাতেও ব্যর্থ হ্যাকাররা

ICMR website faces 6,000 cyber attacks in 24 hours: ২৪ ঘণ্টায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর (ICMR)-এর ওয়েবসাইটে ৬০০০-এর বেশি সাইবার আক্রমণ হয়েছে। তবে সফল হয়নি হ্যাকাররা।

ICMR: হ্যাক হয়েছিল এইমস-এর সার্ভার, আইসিএমআর-এর সাইটে ৬০০০ বারের চেষ্টাতেও ব্যর্থ হ্যাকাররা
সাইবার ক্রাইম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2022 | 5:29 PM

নয়া দিল্লি: সাইবার আক্রমণের শিকার দেশের আরও এক শীর্ষ স্থানীয় চিকিৎসা বিজ্ঞান কেন্দ্র। সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর (ICMR)-এর ওয়েবসাইটে ৬০০০-এর বেশি সাইবার আক্রমণ হয়েছে। এর আগে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের সার্ভার হ্যাক হয়েছিল। সার্ভারের তথ্যাদি পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। কিন্তু, তারপরও হাসপাকতালে হাতে হাতেই কাজ করতে হচ্ছে। কারণ, অনলাইন পরিষেবা এখনও চালু করা যায়নি। ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের বিশেষজ্ঞরা ওই পরিষেবা ফের চালু করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ভারতের কোভিড-১৯ মহামারির মোকাবিলা পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করত আইসিএমআর। কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যাদির রক্ষণাবেক্ষণ, কোভিড নিয়ে যাবতীয় গবেষণা – সবেরই নিয়ন্ত্রক সংস্থা ছিল আইসিএমআর। সেই সব তথ্য সুরক্ষিত আছে কি না, সেই বিষয়ে কোনও বিশদ তথ্য পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, গত ৩০ নভেম্বর এই সাইবার হামলা হয়েছিল। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৬,০০০-এর বেশি বার আইসিএমআর-এর ওয়েবসাইটে হানা দিয়েছিল হ্যাকাররা। ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের এক কর্তা জানিয়েছেন, হংকংয়ের একটি কালো তালিকাভুক্ত আইপি ঠিকানা থেকে ওই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। আপাতত আইসিএমআর-এর ওয়েবসাইটের সুরক্ষা আরও বাড়ানোর কাজ চলছে।

ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের ওই কর্তা বলেছেন, “হামলাকারীদের দ্রুত ব্লক করা হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট দলকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছি। যদি ফায়ারওয়ালে কোনও ফাঁকফোকর থাকত, তাহলে সাইবার হামলাকারীরা ওয়েবসাইটটির নিরাপত্তা লঙ্ঘন করতে সফল হত।” আইসিএমআর পক্ষ থেকে অবশ্য এই বিষয়ে এখনও কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। এনআইসি-র পক্ষ থেকে সমস্ত সরকারি সংস্থাগুলিকে তাদের ওয়েবসাইটের ফায়ারওয়াল আপডেট করতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, অপারেটিং সিস্টেমের সিকিওরিটি প্যাচগুলি আপডেট করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এনআইসির ওই কর্তা আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে হ্যাকারদের নিশানায় প্রথমেই রয়েছে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির হাতে থাকা রোগীদের তথ্য। ২০২০ সাল থেকে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির ওয়েবসাইটে সাইবার আক্রমণ ক্রমে বাড়ছে।