AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Earthquake: তুরস্কে ধ্বংসাবশেষের নীচে থেকে উদ্ধার ভারতীয় যুবকের দেহ, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২৬ হাজার

ফলে বিজয় জীবিত রয়েছেন বলেই আশা করেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় ওই হোটেলের ধ্বংসাবশেষে নীচে থেকেই বিজয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে।

Earthquake: তুরস্কে ধ্বংসাবশেষের নীচে থেকে উদ্ধার ভারতীয় যুবকের দেহ, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২৬ হাজার
তুরস্কে ধ্বংসাবশেষের নীচে থেকে উদ্ধার ভারতীয়ের দেহ।
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2023 | 10:34 PM
Share

আঙ্কারা: ব্যবসার কাজে যাওয়া-ই কাল হল! ‌মৃত্যুপুরী তুরস্কের ধ্বংসাবশেষ থেকে এবার উদ্ধার হল এক ভারতীয়ের দেহ। বিজয় কুমার নামে ওই যুবক তুরস্কে ভূমিকম্পের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রর। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় বিজয় কুমারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে টুইট করল তুরস্কের ভারতীয় দূতাবাস।

এদিন সন্ধ্যায় তুরস্কে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বিজয় কুমারের খবর নিশ্চিত করে পরপর দুটি টুইট করা হয়েছে। টুইটে জানানো হয়েছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি, তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা বিজয় কুমার। অবশেষে তুরস্ক সীমান্তের যে হোটেলে তিনি ব্যবসায়িক কাজে গিয়েছিলেন, সেই হোটেলের ধ্বংসাবশেষের নীচে থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিজয় কুমারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে তুরস্কের ভারতীয় দূতাবাস। বিজয় কুমারের দেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর এক সংস্থায় কর্মরত বিজয় কুমার উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তিনি তুরস্কে গিয়েছিলেন। সেখানকার মালত্য নামক এক হোটেলের ২৪ তলার একটি ঘরে উঠেছিলেন বিজয়। সোমবার ভোরে প্রথম ভূমিকম্পটি যখন ঘটে তখন হোটেলের ঘরেই ঘুমোচ্ছিলেন বিজয়। তারপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে ওই হোটেলের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বিজয়ের পাসপোর্ট এবং অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়া গেলেও তাঁর হদিশ পাওয়া যায়নি। ফলে বিজয় জীবিত রয়েছেন বলেই আশা করেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় ওই হোটেলের ধ্বংসাবশেষে নীচে থেকেই বিজয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, তুরস্ক এবং সিরিয়াল ভূমিকম্পে ভোটের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৬ হাজার।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার ভোরে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে প্রথম জোরালো ভূমিকম্পটি হয়। তার তীব্রতা ছিল ৭.৮। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও চারবার কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। এছাড়া বহুবার আফটার শক অনুভূত হয়। তারপর উদ্ধারকার্য শুরু হলে হু-হু করে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। এই ভূমিকম্প শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে জানিয়েছেন তুরস্ক ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট।