জায়গা যেমন, খাবার তেমন! যাত্রীদের জিভে বিবিধ স্বাদ পৌঁছে দিতে আঞ্চলিক খাবারে জোর IRCTC-র
রেল সূত্রে খবর, শতাধিক খাবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে সরবরাহ করা হবে এই খাবার।
স্বর্ণেন্দু দাস: অঞ্চল ভিত্তিক খাবারকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে আইআরসিটিসি। নয়া এই উদ্যোগে দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের কাছে স্থানীয় এলাকার জনপ্রিয় খাবার সরবরাহ করা হবে। কোন এলাকার কোন খাবার জনপ্রিয় তা জানতে ইতিমধ্যেই করা হয়েছে সমীক্ষা। রেল সূত্রে খবর, শতাধিক খাবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে সরবরাহ করা হবে এই খাবার। অঞ্চল ভিত্তিক জনপ্রিয় খাবারকে আরও জনপ্রিয় করতেই এই ভাবনা নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এই প্রসঙ্গে আইআরসিটিসি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। যেখানে অঞ্চল ভেদে যে সমস্ত খাবার জনপ্রিয়, সেই সমস্ত খাবারগুলিকে আইআরসিটিসি খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অনলাইনে অর্ডার দিয়ে সেই খাবার পেতে পারবেন দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা। আইআরসিটিসি আধিকারিকদের বক্তব্য, এতে একদিকে যেমন আঞ্চলিক খাবার জনপ্রিয় হবে, একইসঙ্গে দূরপাল্লার ট্রেনের সফর করা যাত্রীদের মধ্যে আঞ্চলিক খাবারের স্বাদ তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
এর জন্য ইতিমধ্যেই সমীক্ষা চালিয়েছেন আইআরসিটিসি কর্তৃপক্ষ। কোন এলাকায় কোন খাবার জনপ্রিয় তার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। কলকাতার রসগোল্লা, সন্দেশের পাশাপাশি অন্যান্য জনপ্রিয় খাবার কেউ এই তালিকায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অন্যান্য রাজ্যে আঞ্চলিকভাবে যে সমস্ত খাবার জনপ্রিয় সে গুলোকে তুলে আনা হয়েছে এই তালিকায়। এর জন্য বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গেও কথা হয়েছে আইআরসিটিসি-র। মূলত যে এলাকা দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন যাবে সেই সময় ওই এলাকার যে জনপ্রিয় খাবার রয়েছে, সেগুলোকে পরিবেশন করানোর জন্য এই ভাবনা নেওয়া হয়েছে।
আইআরসিটিসি আধিকারিকদের বক্তব্য, লকডাউন পূর্ববর্তী সময়ে যে পরিমাণ খাবার বিক্রি হতো তা প্রায় কমে এসেছে এক-তৃতীয়াংশে। সেই সংখ্যাকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই “লোকাল প্রপুলার প্রডাক্ট” নামে এই বিশেষ পরিকল্পনা শুরু করতে চলেছে আইআরসিটিসি। মূলত প্রাথমিক পর্বে ই-ক্যাটারিং এর মাধ্যমে এই পরিষেবা পাবেন দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা।
হবে এটাই প্রথম নয় সাম্প্রতিক সময়ে দূরপাল্লার ট্রেনের খাবার পরিবেশন কি আরও জনপ্রিয় করতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে আইআরসিটিসি। তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেনে মাটির ভাঁড়ে চা পরিবেশন করা। খুব শীঘ্রই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে বলে আগেই জানিয়েছিল আইআরসিটিসি।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর আগে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালুপ্রসাদ যাদবও মাটির ভাঁড় চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ফলপ্রসূ হয়নি। এ বার হবে, এই আশায় বুক বাঁধছেন পরিবেশবিদরা। কিন্তু মাটির ভাঁড় চালু হলে চায়ের জন্য কি বাড়তি কড়ি গুনতে হবে? না তেমন দুশ্চিন্তার কারণ নেই। রেল আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, মাটির ভাঁড়ে চায়ের সর্বনিম্ন দাম থাকছে ৫ টাকা। আরও পড়ুন: চায়ের চুমুকে মাটির গন্ধ… প্লাস্টিকের কাপ নয়, এবার ভাঁড়ে চা খাওয়াবে IRCTC