Hoax Bomb Threat: বিরক্ত যাত্রীর একটা কথায় হুলুস্থুলু, দুপুরের বিমান শেষে ছাড়ল রাতে!
Akasa flight: সমস্ত যাত্রীদের চেকিং শুরু করা হয়। যারা বিমানে উঠে গিয়েছিলেন, তাদেরও নামিয়ে ফের একবার চেকিং করা হয়। সমস্ত ব্যাগপত্রও ফের একবার পরীক্ষা করা হয়। এর জেরে এতটাই দেরী হয় যে দুপুরের বিমান ছাড়তে ছাড়তে রাত হয়ে যায়।
মুম্বই: একটা বেফাঁস কথা। তার জেরেই শোরগোল গোটা বিমানবন্দরে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকল বিমান। রবিবার মুম্বই থেকে বারাণসীগামী বিমান নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়তে পারল না, কারণ এক যাত্রী বিরক্ত হয়ে বলে বসেছিলেন, তাঁর কাছে বোমা আছে নাকি! ব্যাস, বিমানবন্দরের আধিকারিকদের কানে এই কথা যেতেই জারি করা হল সতর্কতা।
রবিবার মুম্বই থেকে বারাণসীগামী আকাসা বিমানটি দুপুর আড়াইটেয় ছাড়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী এক ঘণ্টা আগে প্রি-বোর্ডিংয়ের প্রক্রিয়াও শুরু হয়। কিন্তু এক যাত্রী বোর্ডিং লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে নিয়মের কড়াকড়িতে বিরক্ত হয়ে বলে বসেন, “আমার কাছে বোমা আছে নাকি?”। তার এই মন্তব্য শুনতে পেয়েই বিমানবন্দরের আধিকারিকরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফকে খবর দেন। এরপরই বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়।
সমস্ত যাত্রীদের চেকিং শুরু করা হয়। যারা বিমানে উঠে গিয়েছিলেন, তাদেরও নামিয়ে ফের একবার চেকিং করা হয়। সমস্ত ব্যাগপত্রও ফের একবার পরীক্ষা করা হয়। এর জেরে এতটাই দেরী হয় যে দুপুরের বিমান ছাড়তে ছাড়তে রাত হয়ে যায়।
আকাসা উড়ান সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার প্রোটোকলের কারণে বিমানটি দেরীতে ছাড়ে।
উল্লেখ্য, এর দুদিন আগে, শুক্রবারও মুম্বই থেকে আগত আকাসা বিমান বারাণসী বিমানবন্দরে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করাতে হয়। সেইদিনও বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করা হয়েছিল যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে আকাসা এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে বোমা রাখা রয়েছে। এরপরই বারাণসী এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে বিমানের পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং বিমানটি ইমার্জেন্সি ল্য়ান্ডিং করানো হয়।