Issue Bangladesh: ‘হিন্দুদের ওপর হামলা আর সহ্য নয়’, বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদী সরকারের ওপর বাড়ল চাপ… এবার বড় পদক্ষেপের পথে!
Issue Bangladesh: উল্লেখ্য, এই আবেদন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ লোকসভা নির্বাচনের পর দেখা গিয়েছিল, বিজেপি একাধিক বিষয়ের কার্যকলাপ নিয়ে অসন্তোষ ছিল আরএসএস-এর। নির্বাচনের পর তা প্রকাশ্যে এসেছিল। বাংলাদেশ ইস্যুতেই কেন্দ্রের সরকারের অবস্থান নিয়ে চাপ বাড়াল আরএসএস।
নয়া দিল্লি: বাংলাদেশ ইস্যুতে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে আরএসএস। আরএসএস নেতা সুনীল আমবেকার বলেন, “আমাদের সকলকে বাংলাদেশের নিপীড়িত হিন্দু সমাজের পাশে দাঁড়াতে হবে। সর্বশক্তি দিয়ে তাঁদের সাহায্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।” আরএসএস-এর দাবি, বাংলাদেশ ইস্যুতে আরও ‘কংক্রিট স্টেপ’ করতে হবে ভারত সরকারকে। সুনীল আমবেকার আরএসএস-এর প্রথম সারির নেতা। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিনি প্রচারপ্রমুখ হিসাবে সরকারের আর্জি জানান, যেভাবে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, তাতে কাজ হবে না। হওয়ার ফলে এতদিনে বাংলাদেশ শুধরে যেত। কিন্তু নিত্য বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের খবর প্রকাশ্যে আসছে। তাতে ওপারের হিন্দুদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এবার কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে ভারত সরকারকে। কেবলমাত্র হিন্দু নয়, বৌদ্ধ, জৈন-র মতো, আরও যাঁরা সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে থাকেন, তাঁদের সুরক্ষারও ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, এই আবেদন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ লোকসভা নির্বাচনের পর দেখা গিয়েছিল, বিজেপি একাধিক বিষয়ের কার্যকলাপ নিয়ে অসন্তোষ ছিল আরএসএস-এর। নির্বাচনের পর তা প্রকাশ্যে এসেছিল। বাংলাদেশ ইস্যুতেই কেন্দ্রের সরকারের অবস্থান নিয়ে চাপ বাড়াল আরএসএস।
বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের যে তথ্য সামনে আসছে, তা শিউরে ওঠার মতো। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে, হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে বাংলাদেশ যে তথ্য দিয়েছে, তা মিথ্যা। যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তার থেকেও অনেক বেশি হিন্দু সেখানে নিপীড়িত। এর মধ্যেই বাংলাদেশের একের পর এক নেতা, ধর্মগুরুর বাংলা দখল, ভারতের ভূখণ্ড দখলের হুঁশিয়ারি। এই পরিস্থিতি পাল্টা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানেই সায় থাকবে বাংলার। ইতিমধ্যেই কলকাতার ইসকনের তরফ থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। গত সোমবারই ভারতের বিদেশ সচিব বাংলাদেশে গিয়ে বৈঠক করেছেন। কিন্তু তাতে যে পরিস্থিতির ছিটেফোঁটাও পরিবর্তন হয়নি, তার প্রমাণ মিলছে নিত্য। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ওপর বাড়ল চাপ।