বেলুন নিয়ে খেলাই হল কাল, অকাল মৃত্যু ৯ বছরের বালকের

Kerala Boy accidentally swallows Balloon: বেলুন নিয়ে খেলতে গিয়ে সেটি গিলে ফেলেছিল কেরলের এক নয় বছরের বালক। তিনদিন ধরে অনেক চেষ্টা করলেন

বেলুন নিয়ে খেলাই হল কাল, অকাল মৃত্যু ৯ বছরের বালকের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2023 | 9:03 PM

তিরুবনন্তপুরম: বেলুন নিয়ে খেলতে গিয়ে সেটি গিলে ফেলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল কেরলের এক নয় বছরের বালকের। মৃত শিশুর নাম আদিত্যন, আন্তিয়ুরের কাছে কাল্লুমুদুর এলাকার বাসিন্দা। প্লাভিলা ইউপি নামে এক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত সে। রবিবার সকালে আদিত্যন তাঁর বাড়িতে বেলুন নিয়ে খেলছিল। দুর্ঘটনাক্রমে সে বেলুনটি গিলে ফেলে। তাঁর মা সবিতা স্থানীয় পুরসভার কর্মী। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর ছেলে শ্বাস নিতে পারছে না। তিনি আদিত্যনকে দ্রুত আরালুমুডুর এনআইএমএস হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। চিকিত্সকরা আদিত্যনকে পরীক্ষা করার সময় দেখেছিলেন, তার শ্বাসতন্ত্রের ভিতরে একটি বেলুনের টুকরো আটকে আছে। চিকিৎসকরা দ্রুত ওই বেলুনের টুকরোটি সরিয়ে দেন। তবে, তাতেও আদিত্যনের অবস্থার উন্নতি হয়নি। এরপর, তাঁকে ভেন্টিলেটরে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে বুধবার দুপুরে তিনি সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

কেরল পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তারপরই আদিত্যনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ ফৌজদারি আইনের আওতায় অপ্রাকৃতিক মৃত্যুর একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। এই ঘটনার আরও তদন্ত করবে পুলিশ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন চিকিত্সকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সন্তানরা দুর্ঘটনাক্রমে কিছু গিলে ফেললে অবিলম্বে চিকিৎসকদের সাহায্য নেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য গত মাসে, প্রায় একইরকম এক ঘটনায় কলকাতায় এক তিন বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। একটি বেলুন আটকে গিয়ে তার শ্বাসনালী সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। চিকিত্সকরা অবশ্য তাঁর ফুসফুস থেকে বেলুনটি সরাতে পেরেছিলেন। কিন্তু, তারপরও তাকে বাঁচানো যায়নি। ওই ক্ষেত্রে বেলুনটি ফোলাচ্ছিল শিশুটি। কিন্তু আচমকা বেলুনটি তার মুখের মধ্যে ঢুকে যায় এবং ছেলেটি সেটি গিলে ফেলেছিল। অভিভাবকরা প্রথমে বাড়িতেই বেলুনটি তার শ্বাসনালী থেকে বের করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর তারা শিশুটিকে নিকটবর্তী এক নার্সিং হোমে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, তাকে বাঁচানো যায়নি।