Kerala Human Sacrifice: উচু গলায় কথাও বলতেন না শান্তশিষ্ট স্বভাবের ভগবল! নরবলির আগে ফেসবুকে কী লিখেছিলেন তিনি?
Human Sacrifice Case Update: ৬০ বছর বয়সী ভগবল সিং সমাজকর্মী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। সকলের সঙ্গে ভালভাবেই তিনি কথা বলতেন। তাঁর বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীরাও তাঁকে কখনও উচু স্বরে বা খারাপ ব্যবহার করতে দেখেননি বলেই জানিয়েছেন।
তিরুবনন্তপুরম: পাড়ার সকলেই তাঁকে চিনতেন নম্র, বিনয়ী স্বভাবের শান্তশিষ্ট মানুষ হিসাবে। দুঃস্বপ্নেও তারা কখনও কল্পনা করতে পারেননি ওই শান্ত-শিষ্ট মানুষটিই স্ত্রীর সাহায্য নিয়ে দুই মহিলাকে বলি দিয়েছেন। খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে পুঁতে দিয়েছেন মাটিতে! কেরলের জোড়া নরবলির ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত দম্পতি ও তাদের যিনি নরবলি দেওয়ার বুদ্ধি দিয়েছিলেন, তাদের গ্রেফতার করেছে। জেরায় একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে। অন্যতম অভিযুক্ত ভগবল সিংয়ের ফেসবুক অ্য়াকাউন্টে নজর রাখতেই বেশ কিছু নতুন তথ্য জানতে পারল কেরল পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দুই মহিলাকে নরবলি দেওয়া ও সম্ভবত তাদের মাংস খাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত ভগবল সিং ফেসবুকে বেশ সক্রিয় ছিলেন। প্রায়সময়ই তিনি নিজের লেখা কবিতাও পোস্ট করতেন ফেসবুকে। নিজেকে তিনি পরিচয় দিতেন স্বনির্ভর হিসাবে। বিকল্প ওষুধ নিয়ে কাজ করতেন বলেই লিখেছিলেন ফেসবুকের বায়োতে। প্রাচীন বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে বহু মানুষকে সুস্থ করে দিয়েছিলেন তিনি, এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।
৬০ বছর বয়সী ভগবল সিং সমাজকর্মী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। সকলের সঙ্গে ভালভাবেই তিনি কথা বলতেন। তাঁর বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীরাও তাঁকে কখনও উচু স্বরে বা খারাপ ব্যবহার করতে দেখেননি বলেই জানিয়েছেন। তবে জোড়া নরবলির ঘটনা সামনে আসতেই সিং পরিবারের বাড়ির বাইরে জমেছে ভিড়। দূর-দূরান্ত থেকেও লোকজন আসছেন ওই বাড়ি দেখতে।
অভিযুক্ত পরিবারের এক প্রতিবেশী জানান, ওই দম্পতি শিক্ষিত, সমাজে স্বনামধন্য ছিল। তাদের যে এইধরনের মানসিকতা, তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ পাননি কেউ। ভগবলের পূর্বপুরুষও অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন। সাধারণ মানুষ অসুস্থতায় হাসপাতালে না গিয়ে, তাদের কাছে আসতেন চিকিৎসার জন্য।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ভগবল সিপিএমের কর্মী ছিলেন। কিন্তু খুনের ঘটনা সামনে আসতেই দলের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগ অস্বীকার করা হয়।