Woman Executive: ক্লাবে মদ্যপান করতে গিয়ে আলাপ, হোটেলে ডিনারে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কলকাতার যুবতী
Physical Harassment: পুলিশ জানিয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নয়াদিল্লি: কোম্পানির কাজে নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন কলকাতার এক যুবতী। বেশ কয়েক দিন সেখানে ছিলেন তিনি। এক দিন সন্ধ্যাবেলায় নয়ডার একটি ক্লাবে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় এক যুবকের। সেই ক্লাবে দু’জনেই পানাহার করেন। তার পর রাতে একটি হোটেলে ডিনার করতে যাওয়ার জন্য ওই যুবতীকে আমন্ত্রণ করেন ওই যুবক। হোটেলে নিয়ে ওই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই যুবতী। ডিএলএফ ফেজ-২ থানায় এ নিয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে কোম্পানির কাজে দিল্লি গিয়েছিলেন কলকাতার ওই যুবতী। সেখানে গিয়ে গুরুগ্রামের সেক্টর ৪০-এর একটি হোটেলে ছিলেন তিনি। বুধবার নয়ডার সেক্টর ২৯-একটি ক্লাবে মদ্যপান করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় অভিযুক্ত যুবকের। অভিযুক্ত যুবক ওই যুবতীকে মদ ও সিগারেট অফার করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই ক্লাবে আলাপ হওয়ার পর ওই যুবকের সঙ্গে অন্য একটি ক্লাবে যান ওই যুবতী। সেখান থেকে রাত আড়াইটার সময় বেরোন তাঁরা। তখন অভিযুক্ত যুবক ডিনারের জন্য ওই যুবতীকে একটি হোটেলে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ যুবতীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই থানার পুলিশ অফিসার সত্যেন্দর সিংহ জানিয়েছেন, ওই ক্লাব এবং হোটেলের পাশ্ববর্তী সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার নয়ডার সেক্টর ৭০-এ এক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে ওই যুবতী আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ওই যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।