Maharashtra: ‘বিজেপি ওয়াশিং মেশিং’ , মহা-নাটকের পর শরদের পাশে বিরোধীরা
Oppositions reaction about Ajit Pawar joins NDA: প্রথমে শিবসেনা এবং এখন এনসিপি-র এই ভাঙনের পর, রবিবার, মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের তৃতীয় শক্তি কংগ্রেস-সহ প্রায় সব বিরোধী দলই সমালোচনা করেছেন বিজেপির।
মুম্বই: অজিত পওয়ারের এক পদক্ষেপে দ্বিধা বিভক্ত এনসিপি। আর এর জেরে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিরোধী জোটের উদ্যোগও। সবে যখন জোটদানা বাঁধছে, সেই সময়ই গর্তে পড়লেন জোটের অন্যতম প্রবক্তা শরদ পওয়ার। ভাইপোই ‘ডাকাতি’ করলেও, এই দুঃসময়ে শরদ পওয়ারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়-সহ অনেকেই ফোন করে শরদ পওয়ারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। প্রথমে শিবসেনা এবং এখন এনসিপি-র এই ভাঙনের পর, রবিবার, মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের তৃতীয় শক্তি কংগ্রেস-সহ প্রায় সব বিরোধী দলই সমালোচনা করেছেন বিজেপির।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেনুগোপাল বলেছেন, “মহারাষ্ট্রে বিজেপির নোংরা কৌশল নিয়েছে। এটা বৈধ ও নির্বাচিত সরকার গঠন নয়, ইডি-র সাহায্যে ক্ষমতা দখল করা। মহারাষ্ট্র সরকার দুর্নীতি ও পাপের ফসল। মহারাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতক, দুর্নীতিবাজ এবং আপসহীন নেতাদের জনগণ চিনে নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে তাদের শিক্ষা দেবেন জনতা।”
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও ‘বিশ্বাসঘাতক’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা ২০২৪-এ এই বিশ্বাসঘাতক এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব। বিজেপিকে পরাজিত করতে আরও জোর কদমে কাজে নামব।”
বিজেপির ‘ওয়াশিং মেশিন রাজনীতি’র প্রসঙ্গও উঠেছে। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেছেন, “স্পষ্টতই ফের কাজ শুরু করে দিয়েছে বিজেপির ওয়াশিং মেশিন। আজ মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোটে যাঁরা যোগ দিলেন, ইডি, সিবিআই এবং আয়কর বিভাগ তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ করেছে। এখন তাঁরা সবাই ক্লিন চিট পেয়েছেন। মহারাষ্ট্রকে বিজেপির কবল থেকে মুক্ত করতে কংগ্রেসের প্রচেষ্টা আরও বাড়বে।”
ডিএমকে-র এলানগোভান বলেছেন, “শরদ পওয়ারের সঙ্গে অজিত পওয়ারের তুলনাই হয় না। তাঁর অভিজ্ঞতা এবং তাঁর সমর্থন বোধহয় অজিত পওয়ারের সঙ্গে নেই। তাই কেউ যদি দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যায়, তাহলে জনগণ, দলের ক্যাডাররা তা মেনে নেবে না। তিনি (অজিত) হয়ত একটা পদ পেয়েছেন, তিনি হারালেন সব। এনসিপি সমর্থকরা তাঁকে সমর্থন মনে হয় না তারা পাবে। আসলে বিজেপি বিরোধীদের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে। তারা এই জোটকে ভয় পাচ্ছে। তাই তারা দল ভাঙছে। কিন্তু, ক্যাডার-সমর্থক ছাড়া, দু-একজন নেতার লাভ হতে পারে। তাছাড়া কোনও পার্থক্য হবে না। বিরোধী ঐক্যে কোনও প্রভাব পড়বে না।”
শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, “এটা (শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান) হল একনাথ শিন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ হারানোর শুরু। তাঁর বিধায়করা বিধায়সভার সদস্য হিসাবে অযোগ্য ঘোষিত হবেন। তার পরও সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য অজিত পওয়ার এবং এনসিপি বিধায়কদের যোগ দেওয়ানো হল। জনগণ এই সার্কাস বেশিদিন সহ্য করবেন না।
রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিবাল কটাক্ষ করে বলেছেন, “আমার ধারণা মার্কিন কংগ্রেসে তাঁর ভাষণে মোদিজি এই গণতন্ত্রের জননীর কথাই বলেছিলেন।” বলেছেন ৷
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনীতির অঙ্ক পাটিগণিতের সঙ্গে মেলে না। তিনি বলেছেন, “রাজনীতির গণিত আলাদা। এখানে কারো যোগদান মানেই যে সবসময় ক্ষমতা বাড়ে না। তবে, যে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হলে সঙ্গী বাড়াতে হয়। এটি দুর্বলতা বৃদ্ধির লক্ষণও বটে।”