IIT Bombay Student: হাত-পা বেঁধে নগ্ন শরীরে জ্বলন্ত মোম, ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলত তান্ত্রিক যৌনতা: IIT ছাত্র
IIT student
মুম্বই: এক ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে উত্তাল দেশের প্রখ্যাত ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকেন্দ্র আইআইটি বম্বে (IIT Bombay)। এরই মধ্যে মুম্বইয়ের অভিজাত সম্প্রদায়ের এক দম্পত্তির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরও এক ছাত্র। তাঁর অভিযোগ, ওই অভিজাত দম্পতি ‘তান্ত্রিক যৌনতায়’ লিপ্ত। শুধু তাই নয়, ওই দম্পতি তাঁকে ‘সেক্স স্লেভ’ বা ‘যৌনদাসে’ পরিণত করেছেন বলেও দাবি করেছেন নির্যাতিত ছাত্র। তান্ত্রিক যৌনতার সময় তাঁর উপর বিভিন্ন যৌন অত্যাচার করা হত, এমনকি তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন আইআইটির ছাত্রটি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত মধ্য চল্লিশের ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর স্ত্রী এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত হলেও, এই ঘটনায় তাঁর কতটা ভূমিকা ছিল, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।
গত সপ্তাহের শুরুতেই আইআইটি বম্বের ওই ছাত্র আন্ধেরির পাওয়াই থানায় এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, বছর দুই আগে ‘গ্রিন্ডার’ নামে এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে অভিযুক্ত ওই দম্পতির সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ওই ছাত্রের আলাপ হয়েছিল। তারপর থেকে বারংবার তাঁর সঙ্গে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন ওই স্বামী-স্ত্রী। নির্যাতিত ছাত্রের অভিযোগ, তাঁর হাত-পা বেঁধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যৌন অত্যাচার চলত। তান্ত্রিক যৌনতার নামে তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মোম গলিয়ে ঢেলে দেওয়া হত। এমনকি, এরবার এমনভাবে তাঁর ঘাড় চেপে ধরা হয়েছিল যে তাঁর মৃত্যও হতে পারত।
আইআইটির ছাত্রের এই অভিযোগ পাওয়ার পরই এই বিষয়ে তদন্ত ও জেরা শুরু করে পুলিশ। পাওয়াই থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা সমাজের অত্যন্ত অভিজাত সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই এই বিষয়ে অত্যন্ত সাবধানী পদক্ষেপ করছে পুলিশ। অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা, অপ্রাকৃতিক যৌনতা এবং ব্ল্যাক ম্যাজিক আইনের উপযুক্ত ধারার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাওয়াই পুলিশের সিনিয়র ইন্সপেক্টর বুধন সাওয়ান্ত বলেছেন, “দুজনেই উচ্চ শিক্ষিত এবং উচ্চ পদে চাকরি করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি ইউরোপের এক সংস্থায় কর্মরত। এফআইআর দায়ের হওয়ার সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। দেশে ফেরার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় আদালত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছে।”
শোনা যায়, তান্ত্রিক যৌনতায় কোনও ব্যক্তিকে সম্মোহন করে যৌন দাস বানানো হয়। সম্মোহিত হওয়ার পর, ওই ব্যক্তিকে যা যা বলা হয়, তিনি সেই সব আদেশ পালন করেন। সম্মোহনকারীর কাছে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করেন। তান্ত্রিক যৌনতার ঘটনা ভারতে নতুন নয়। এর আগেও এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। তবে, শিক্ষিত অভিজাত সম্প্রদায়ের এক দম্পতির বিরুদ্ধে আইআইটির এক ছাত্র এই অভিযোগ তোলায়, ঘটনাটি অন্য মাত্রা পেয়েছে।