COVID Vaccination: ৪০ জেলায় টিকাকরণে গতি নেই, মুখ্যমন্ত্রী-জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী
Low rate of Vaccination : কীভাবে ওই জেলাগুলিতে করোনা টিকাকরণে গতি আনা যায় তা নিয়ে দিশা দেখাতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
নয়া দিল্লি: দেশের বেশ কিছু এলাকায় করোনা টিকাকরণের গতি বেশ স্লথ। আর তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে কেন্দ্র। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। জি-২০ বৈঠক শেষে রোম থেকে ফিরেই তাই ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। কথা বলবেন সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে। কীভাবে ওই জেলাগুলিতে করোনা টিকাকরণে গতি আনা যায় তা নিয়ে দিশা দেখাতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
উল্লেখ্য, যে সব জেলাগুলিতে করোনা টিকার প্রথম ডোজ়ের হার ৫০ শতাংশের নিচে, সেই সব জেলাগুলির আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে বৈঠকে। কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মেঘালয় সহ অন্যান্য রাজ্যগুলির যে জেলাগুলিতে টিকাকরণের হার কম, সেই সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমন ৪০ টিরও বেশি জেলা রয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও।”
দেশে টিকাকরণের সামগ্রিক গতি বেশ ভালই। এখনও পর্যন্ত ১৩০ কোটির দেশে তিন চতুর্থাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে করোনা টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের।
উল্লেখ্য, গতকালই জি-২০ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, ভারতে ১০০ কোটির টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে এবং চলতি বছরের শেষে করোনা টিকার ৫০০ কোটির বেশি ডোজ় তৈরি করে ফেলবে ভারত, যা গোটা বিশ্বের করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভীষণভাবে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন নরেন্দ্র মোদী। চলতি বছরের শেষেই দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পূর্ণ টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারত।
এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ রয়েছে কেরলে। এদিন নতুন করে প্রায় ৭ হাজার ৪২৭ জনের সংক্রমণের হদিশ মিলেছে শরীরে। মৃত্যু হয়েছে ৩৫৮ জনের। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ৬১৬ জনের। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। মহারাষ্ট্রের পরে রয়েছে কর্নাটক। সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪৭ । গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। আর তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২১ জন। মূলত দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি যেমন, কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গনা এবং অন্ধ্র প্রদেশ সংক্রমণের নিরিখে এগিয়ে।
তবে উত্তর প্রদেশের মতো বড় রাজ্য নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা বুলেটিন অনুযায়ী সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১৯ জন। রাজধানী দিল্লিতেও আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ জন। আবার মিজ়োরামের মতো ছোটো রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ ছুঁইছুই। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
আরও পড়ুন : Corona Outbreak: গতকালের তুলনায় ১০ শতাংশ কমল সংক্রমণ, কিছুটা স্বস্তি দৈনিক মৃত্যুতে