Punjab: মিটল দ্বন্দ্ব, মুখ্যমন্ত্রী চন্নির একটি প্রস্তাবেই সভাপতির পদে ফিরছেন সিধু

Navjot Singh Sidhu to stay as Punjab Congress Chief: সূত্রের খবর, সিধু যাদের নিয়োগ নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের মধ্যে পঞ্জাব পুলিশের প্রধান ইকবাল প্রীত সিং সাহোতাকে পদ থেকে সরানোর প্রস্তাব  দেওয়ার পরই দলে থাকতে রাজি হয়েছেন তিনি।

Punjab: মিটল দ্বন্দ্ব, মুখ্যমন্ত্রী চন্নির একটি প্রস্তাবেই সভাপতির পদে ফিরছেন সিধু
বৈঠকের পর সিধু। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 6:50 AM

চণ্ডীগঢ়: অবশেষে রাজি হলেন সিধু(Navjot Singh Sidhu)। কথা দিলেন, তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছা়ড়বেন না। দুদিনের টানাপোড়েনের পর বৃহস্পতিবার নয়া মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি(Charanjit Singh Channi)-র ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়েই মত বদল করলেন নভজ্যোত সিং সিধু। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হল একটি সমন্বয় কমিটি (Coordination Committee) তৈরিরও।

২০১৭ সালের নির্বাচনের আগে দলের তরফে কী কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এবং তারমধ্যে কী কী পূরণ হয়েছে, তার উপর নজর রাখতেই এই সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, তিন সদস্য নিয়ে এই কমিটি গঠন হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি, নভজ্যোত সিং সিধু ও হরিশ চৌধুরি এই কমিটির সদস্য হতে পারেন।

একে তো নয়া মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন ঘিরে অখুশি, তার উপর সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় যাদের জায়গা দিয়েছেন চরণজিৎ সিং চন্নি,  তাদের নিয়েও অসন্তুষ্ট সিধু। জমে থাকা যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিয়েই মঙ্গলবার তিনি ইস্তফা দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে। দলের তরফে একাধিকবার সেই ইস্তফা প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হলেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তিনি।

তবে সিধুর পরিবর্তে “প্ল্যান বি” হিসাবে সুনীল জাকরের নাম উঠে আসতেই আচমকা পরিবর্তন। সিধুর পরামর্শদাতা জানান, সিধু কোথাও যাচ্ছেন না, তিনিই সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন। আচমকা ইস্তফা প্রসঙ্গে বলেন, সেটি আবেগপ্রবণ একটি সিদ্ধান্ত।

চরণজিৎ সিং চন্নি, পঞ্জাবের প্রথম দলিত শিখ নেতা। আসন্ন নির্বাচনের আগে একজন দলিতকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে রাজ্যের একটি বড় অংশের ভোটই নিজেদের ঝুলিতে পুরতে চাইছে কংগ্রেস। তবে চন্নির প্রবেশের পরই সিধুর ইস্তফা এবং তাঁকে সমর্থন জানিয়ে আরও চারজনের দলীয় পদ ছাড়ায় বেশ কিছুটা চাপে পড়ে যান তিনি। সূত্রের খবর, বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও মুখ্যমন্ত্রী চন্নি পঞ্জাব ভবনে আলোচনার জন্য ডাকেন নভজ্যোত সিং সিধুকে। প্রস্তাব দেন সিধুর পরামর্শ গ্রহণের সর্বতভাবে চেষ্টা করার।

সূত্রের খবর, সিধু যাদের নিয়োগ নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের মধ্যে পঞ্জাব পুলিশের প্রধান ইকবাল প্রীত সিং সাহোতাকে পদ থেকে সরানোর প্রস্তাব  দেওয়ার পরই দলে থাকতে রাজি হয়েছেন তিনি।

সূত্রের খবর, নতুন মুখ্যমন্ত্রী যাদের মন্ত্রিসভা ও প্রশাসনিক পদে জায়গা দিয়েছেন, তাতে অখুশি নভজ্যোত সিং সিধু। যেমন, পুলিশ প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন আইপিএস অফিসার ইকবাল প্রীত সিং সাহোতা। তাঁর প্রসঙ্গে সিধু বলেছিলেন, “যখন দেখি যে ৬ বছর আগে বাদলদের ক্লিনচিট দিয়েছিল, তাঁকেই ন্যায় বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তখন খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক।” একইভাবে এপিএস দেওয়লকে অ্যাডভোকেট জেনারেলের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ”যারা নিজেরাই জামিনে মুক্ত, তারাই নাকি অ্যাডভোকেট জেনারেলের দায়িত্ব পাচ্ছেন।”

তবে সিধুর ক্ষোভের সবথেকে বড় কারণ হল রানা গুরজিৎ সিংকে পুনরায় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। বালি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত রানা গুরজিৎ সিংকে ২০১৮ সালেই মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দিয়েছিলেন অমরিন্দর সিং। পরে তদন্তে তাঁকে নির্দোষ বলেই ঘোষণা করা হয়। দুর্নীতির অভিযোগে যাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, ক্ষমতায় এসেই নয়া মুখ্যমন্ত্রী চন্নি তাঁকে ফিরিয়ে আনায় ক্ষুব্ধ সিধু। একইসঙ্গে সিধুর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপ-মুখ্যমন্ত্রী এসএস রানধাওয়াকেও রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব দেওয়ায় অসন্তুষ্ট সিধু।

আরও পড়ুন: India vs China: উত্তরাখণ্ডে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে যোগ্য জবাব পেল চিন, পালটা ‘অ্যাকশন’ ভারতীয় সেনার