Sharad Pawar: কংগ্রেসের সুখী ‘জোট সংসারে’ ফাটল? হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে আদানির পাশেই দাঁড়ালেন জোটসঙ্গী শরদ পাওয়ার
Sharad Pawar on Adani Row: শরদ পাওয়ার বলেন, "বিরোধী দলগুলি আদানি-হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের তদন্তের জন্য দাবি করছে। যদি সংসদীয় কমিটি নিয়োগও করা হয়, তবে তার উপর শাসক দলেরই নজরদারি থাকবে। এই দাবি তো শাসক দলের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। যদি কমিটির উপরে শাসক দলেরই ক্ষমতা থাকে, তাহলে কীভাবে সত্য় বাইরে আসবে?"
নয়া দিল্লি: আদানি ইস্যুতে ভিন্ন সুর শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) গলায়। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট (Hindenburg Report) প্রকাশের পরই যেভাবে বিরোধীদের নিশানা হয়ে উঠেছে আদানি গোষ্ঠী এবং তাদের বিরুদ্ধে যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি জানাচ্ছে কংগ্রেস(Congress), তার সঙ্গে সহমত নন জোটসঙ্গী এনসিপি দলের প্রধান শরদ পাওয়ার। শুক্রবার তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মার্কিন শর্ট সেলিং সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের ভিত্তিতে যেভাবে কংগ্রেস আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জেপিসি তদন্তের (JPC Investigation) দাবি জানাচ্ছে, তা নিয়ে তিনি সহমত পোষণ করেন না।
এনডিটিভি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার সরাসরি আদানি গোষ্ঠীকেই সমর্থন জানান এবং হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের কারণে আদানি গোষ্ঠী নিয়ে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “প্রয়োজনের অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই ইস্যুটিকে। আদানি নিয়ে যারা রিপোর্ট পেশ করেছিলেন, আমরা তো কখনও এই মানুষদের (হিন্ডেনবার্গ সংস্থা) কথা শুনিনি। কী প্রেক্ষাপট রয়েছে তাদের? যখন তারা এমন কোনও ইস্য়ু তুলে ধরেন যা গোটা দেশে অশান্তির সৃষ্টি করে, তখন দেশের অর্থনীতিকেই এর মূল্য চোকাতে হয়। আমরা এই বিষয়গুলি অদেখা করতে পারি না। এটা মনে হয় ইচ্ছাকৃতভাবে আদানিকে নিশানা বানানো হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের একটি নির্দিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নিশানা বানানো হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এটাই মনে হচ্ছে। যদি তারা কোনও ভুল না করে থাকেন, তবে এই নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। সংসদে জেপিসি তদন্তের দাবি তোলা হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে আমার ভিন্নমত রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে জেপিসিকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে আগে। আমার মনে আছে, কোকাকোলা নিয়ে জেপিসি নিয়োগ করা হয়েছিল, আমি তার চেয়ারম্যান ছিলাম। তাই আগে যে কখনও জেপিসি তৈরি হয়নি, তা নয়। জেপিসির দাবি ভুল নয়, তবে কী কারণে এই দাবি তোলা হল? জেপিসির দাবির কারণ ছিল নির্দিষ্ট কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে যেন তদন্ত চালানো হয়।”
আদানি-হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের মামলাটি ইতিমধ্য়েই সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য় শীর্ষ আদালতের তরফে একটি কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েই শরদ পাওয়ার বলেন, “অন্য়দিকে বিরোধী দলগুলি আদানি-হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের তদন্তের জন্য দাবি করছে। যদি সংসদীয় কমিটি নিয়োগও করা হয়, তবে তার উপর শাসক দলেরই নজরদারি থাকবে। এই দাবি তো শাসক দলের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। যদি কমিটির উপরে শাসক দলেরই ক্ষমতা থাকে, তাহলে কীভাবে সত্য় বাইরে আসবে?”
সুপ্রিম কোর্টের তদন্তকেই সমর্থন করে শরদ পাওয়ার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টকে কেউ প্রভাবিত করতে পারে না। তাই সুপ্রিম কোর্ট যদি তদন্ত করে, তবে সত্য উদঘাটন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই সুপ্রিম কোর্ট তদন্তকারী দল গঠন করে দেওয়ার পর আলাদাভাবে জেপিসি তদন্তের দাবি আর কোনও গুরুত্ব রাখে না। এর কোনও প্রয়োজন নেই।”