Congress: পঞ্জাবে হলে রাজস্থানে নয় কেন? রাজস্থানের ‘ককপিটে’ বসতে চেয়ে রাহুল সাক্ষাতে পাইলট
Congress Crisis Rajasthan: শুক্রবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সচিন। কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে হাজির ছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
নয়া দিল্লি: কংগ্রেসের (Congress) অভ্যন্তরীণ সমস্যা শেষ হওয়া দূরস্থান, উল্টে পরিস্থিতি যেন ক্রমশ ঘোরালো হয়েই চলেছে। পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়ের পর এ বার রাজস্থান (Rajasthan) নিয়ে মাথাব্যথা শুরু। কারণ, রাজস্থান সরকারের সেকেন্ড ইন কমান্ড সচিন পাইলটও (Sachin Pilot) ফের সুর বদল করা শুরু করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বদল হতেই, সচিনের সক্রিয়তাও যেন বেড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সচিন। কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে হাজির ছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
সূত্র জানাচ্ছে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে বিশেষভাবে ইচ্ছুক সচিন। তাঁর মনে এই বাসনা রয়েছে গত ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই। কিন্তু কংগ্রেসের হাইকমান্ড তাতে রাজি নয়। মাঝে যে সময় মধ্য প্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল বদল করে সরকার উল্টে দেন, তার পর দিয়েই রাজস্থানেও চরম টালমাটাল শুরু হয়েছিল। সচিনও প্রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েই দেবেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। যেহেতু পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই বদল করা হয়েছে, তাই সচিন চাইছেন রাজস্থানেও ভোটের ২ বছর বাকি থাকতে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক।
শুক্রবার দিল্লিতে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন সচিন পাইলট। পঞ্জাবের পর কংগ্রেস অন্য রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী বদল করবে কি না, সেই প্রশ্ন নতুন করে জাগিয়ে দিয়েছে আজকের এই সাক্ষাৎ। বৈঠকের পর অবশ্য কোনও তরফেই মুখ খোলা হয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, পঞ্জাবের মতো রাজস্থানেও অচিরেই নেতৃত্বে বদল দেখা যেতে পারে। ৪৪ বছরের এই তরুণ নেতা নিজের ঘনিষ্টদের গেহলেট মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও বহুদিন ধরে চাপ তৈরি করছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে গেহলট এখনও জায়গা ছাড়ার মানসিকতা দেখাচ্ছেন না বলেই খবর। ফলে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের নতুন অধ্যায় রাজস্থানেও শুরু হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে।
আরও পড়ুন: বাংলাটা আসলে নৌকার মতো, বৃষ্টি হলে ইলেক্ট্রিক পোলে হাত দেবেন না: মমতা
২০১৮ সালে কংগ্রেস রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তৃতীয় বারের জন্য বর্ষীয়ান গেহলটকেই মুখ্য়মন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেয় হাইকমান্ড। যে সিদ্ধান্ত কিছুটা হলেও অবাক করেছিল ওয়াকিবহাল মহলকে। কারণ, ২০১৩ সালের নির্বাচনে গো-হারা হারার পর সংগঠনের দায়িত্ব সচিন পাইলটকে দিয়েছিল কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস তিনিই ৫ বছরের মধ্যে জয়ের রোডম্যাপ তৈরি করেন। তার পরও গেহলেটকে মুখ্যমন্ত্রী করে তাঁর ডেপুটি করা হয় সচিনকে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আগাগোড়াই খুব একটা খুশি ছিলেন না এই তরুণ নেতা। সুযোগ আসতেই ফের একবার নিজের সম্ভাবনার চাকা ঘুরিয়ে দেখছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি একাধিক শিশু, তুমুল বিক্ষোভ দুর্গাপুর হাসপাতালে