দু’মাসে প্রথমবার সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কম হল দেশে, তবে ঢিলেমিকে প্রশ্রয় নয় কেন্দ্রের

গত দু'মাসে প্রথমবার দেশে কম হতে দেখা গিয়েছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা। একলাফে প্রায় ৩০ হাজার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে গিয়েছে।

দু'মাসে প্রথমবার সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কম হল দেশে, তবে ঢিলেমিকে প্রশ্রয় নয় কেন্দ্রের
ছবি - টুইটার
Follow Us:
| Updated on: May 11, 2021 | 11:38 PM

নয়া দিল্লি: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে খুব একটা আশাব্যঞ্জক খবর নেই। তবে দেশের সার্বিক ছবিটা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে, তাতে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত দু’মাসে প্রথমবার দেশে কম হতে দেখা গিয়েছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা। একলাফে প্রায় ৩০ হাজার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে গিয়েছে।

শুধু তাই নয়। কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। যা অবশ্যই আরেকটি বড় ইতিবাচক ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তামানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৭ লক্ষ ১৫ হাজার ২২১। সংক্রমণের নিরিখে পয়লা স্থানেই রয়েছে কর্নাটক। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোট সংক্রমণের প্রায় ৭০ শতাংশই পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১০ টি রাজ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

আরও পড়ুন: করোনা আবহে শিশুদের চিকিৎসা কীভাবে? প্রোটোকল জারি করে জানাল স্বাস্থ্যভবন

যদিও দেশের অধিকাংশ জেলায় সংক্রমণের উর্ধ্বমুখী গ্রাম চিন্তায় রেখেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, দেশের মোট ৭৩৪ টি জেলার মধ্যে ৬৪০ টি জেলাতেই পজিটিভিটির হার অত্যন্ত বেশি। গোটা দেশে এই হার গড়ে ৫ শতাংশের উপরে হলেও এই জেলাগুলিতে সেটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। একই সঙ্গে কম বয়সীদের মধ্যেও করোনার প্রকোপ আরও বেশি করে দেখা যাচ্ছে। ফলে কোভিড বিধি আরও কড়াভাবে পালনের নির্দেশ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: বাংলার দৈনিক আক্রান্ত ২০ হাজার পার, মৃত্যু ১৩২ জনের, কমছে না সংক্রমণের হার