AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Opposition’s Reaction On Mahua Moitra: ‘অন্যায়’, মহুয়া মৈত্র মেলালেন বাংলার বিরোধীদের, এক সুরে সুজন থেকে অধীর

Opposition's Reaction On Mahua Moitra: বিরোধীদের বক্তব্যের সাধারণ স্পষ্ট লাইন, 'অন্যায় ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে।' প্রত্যেকেই স্তম্ভিত। আর বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, মহুয়া মৈত্র যা করেছেন, তাঁর জায়গায় অন্য সাংসদ থাকলেও, তাঁর বিরুদ্ধেও এই পদক্ষেপই করা হত। কে কী বললেন, দেখে নিন এক নজরে...

Opposition's Reaction On Mahua Moitra: 'অন্যায়', মহুয়া মৈত্র মেলালেন বাংলার বিরোধীদের, এক সুরে সুজন থেকে অধীর
বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2023 | 5:02 PM
Share

কলকাতা: মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধীরা। সংসদেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তাঁর পক্ষে সওয়াল করেছেন। কলকাতায় বসে তাঁর বহিষ্কারকে অন্যায় বলে মন্তব্য করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বিরোধীদের বক্তব্যের সাধারণ স্পষ্ট লাইন, ‘অন্যায় ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে।’ প্রত্যেকেই স্তম্ভিত। আর বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, মহুয়া মৈত্র যা করেছেন, তাঁর জায়গায় অন্য সাংসদ থাকলেও, তাঁর বিরুদ্ধেও এই পদক্ষেপই করা হত। কে কী বললেন, দেখে নিন এক নজরে…

সুজন চক্রবর্তী, সিপিএম নেতা

প্রত্যেকেই রাইট টু ডিফেন্স রয়েছে। মহুয়ার সম্পর্কে যিনি বলেছিলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। মহুয়া মৈত্র যে ক্রস চেক করবেন, সেই সুযোগটাই দেওয়া হয়নি। তদন্তটাই হয়নি। আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত হল না। আর মহুয়ার বিরুদ্ধে চটজলদি একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তাঁর পদ খারিজ করে দেওয়া হল। মহুয়া সম্পর্কে তৃণমূলের নেতারা বলেছিলেন, এটা ওঁর ব্যক্তিগত লড়াই, লড়ে নিতে পারবেন। তৃণমূলের দ্বিচারিতা ধরা পড়ল, অন্যদিকে মহুয়া মৈত্রকে সমবেদনা কুড়ানোর সুযোগ করে দিলেন।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ

আমরা গোটা বিষয়টি দেখে চকিত, স্তম্ভিত। মহুয়া মৈত্র বিচার পাননি। আমরা বিরোধীরা এক জোট হয়ে লড়াই করব। এটা আমাদের পরবর্তী রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কুণাল ঘোষ, তৃণমূল মুখপাত্র

সবচেয়ে বড় কথা, যে পদ্ধতিগুলি বিজেপি সামনে রাখল, তা সমস্ত সংসদীয় রীতিনীতি ভেঙে দিল। আইনের তোয়াক্কা না করে, কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংসদীয় রীতি ভেঙে চুরমার করে এই কাজটা করা হল। তাঁরা যে বিষয়গুলো জোর দিলেন, তাতে পাল্টা মহুয়াকে বলতে দেওয়ার সুযোগই দেওয়া হল না।

দিলীপ ঘোষ, বিজেপি সাংসদ

তৃণমূল তো প্রথম থেকে মহুয়ার পাশে দাঁড়ায়নি। এখন যখন দেখছেন পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাচ্ছে, তাই এখন এসব বলছেন। কারণ তৃণমূল যদি প্রথম থেকেই মনে করত, মহুয়া অন্যায় করেননি, তাহলে ওঁর হয়ে কথা বলতেন। তা না বলে ব্যক্তিগত লড়াই বলেছেন। নেত্রীও মুখ খোলেননি। মহুয়া গর্হিত অপরাধ করেছেন। তাঁকে তিন বার মিটিংয়ে ডাকা হয়েছিল। তিনি না বলে গালাগালি দিয়েছেন, নাটক করেছেন। আজ যেমন করেছেন। মহুয়া লক্ষ লক্ষ টাকার উপহার নিয়েছেন, দেশ বিদেশ গিয়েছেন ২৪ বার, তার টাকা, তাঁর কসমেটিক্স, গিফ্ট, ঘড়ি সবই উপহারের। এটা কি অপরাধ নয়?

অধীর চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি

এটা একটা স্টিং অপারেশন। সমস্ত তথ্য সামনে ছিল। একমুখী চিন্তা, কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা বদলা নেওয়ার ভাবনা। আমি ২ ডিসেম্বর চিঠি লিখেছিলাম। একটা তথ্য প্রমাণ ছাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির রাজ্য সভাপতি

মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এক সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তিনি ঘটনাচক্রে মহুয়া মৈত্র। যে কোনও সাংসদের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ উঠলে, একই শাস্তি হত। তিনি পয়সা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন। এথিক্স কমিটিতে তিনি নিজের স্বীকার করেছেন, টাকা নিয়েছেন।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ

দল স্ট্র্যাটেজি ঠিক করবে, কী হবে। এটা অত্যন্ত অসাংবিধানিক উপায়ে হয়েছে। এই ক্ষমতা পার্লামেন্টকে সংবিধানকে দেয়নি। আমার নিঃসন্দেহে পরামর্শ থাকবে আইনি লড়াইয়ের।

শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা

মহুয়ার বহিষ্কারে ‘জয় মা কালী’ বলে টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও।

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তৃণমূল নেত্রী

মা কালী হচ্ছে মায়ের রূপ এবং মহিলারা হচ্ছে মায়ের রূপ। বিরোধী দলনেতা মা কালীর আশ্রয় নিচ্ছেন টুইট করে।

সুভাষ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ

দিল্লি, বেঙ্গালুরু, ইউএসএ, দুবাই থেকে মহুয়ার পোর্টাল খোলে একজন ব্যবসায়ী, একটি কর্পোরেট সংস্থার জন্য। কৃষ্ণনগরের লোক ওঁকে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছিলেন। মহুয়া কী করলেন!