Rajiv Gandhi: রাজীব হত্যাকারীদের মুক্তি নিয়ে সনিয়ার সঙ্গে সহমত নয় কংগ্রেস

Release Of Rajiv Gandhi's Killers: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ছয় আসামীদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সহমত হল না কংগ্রেস।

Rajiv Gandhi: রাজীব হত্যাকারীদের মুক্তি নিয়ে সনিয়ার সঙ্গে সহমত নয় কংগ্রেস
সুপ্রিম রায়ে মুক্ত রাজীব গান্ধী হত্যার অভিযুক্তরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2022 | 8:48 PM

নয়া দিল্লি: শুক্রবার রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ছয় আসামীকে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে একে “গুরুতর উদ্বেগের” বিষয় বলল কংগ্রেস। এমনকী, এই বিষয়ে প্রাক্তন সভাপতি সনিয়া গান্ধী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার মতের সঙ্গে দল একমত নয় বলে জানিয়েছেন, কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি।

সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক মনু সিংভি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে “বিশেষ ক্ষমতা” প্রয়োগ করার বিষয়ে, শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ড দেশের অখণ্ডতার উপর আক্রমণ বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতা। তিনি আরও জানান, রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত মতামত রয়েছে। কিন্তু, তাঁর মতের সঙ্গে দল একমত নয়।

এই বিষয়ে দলের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, “রাজীব গান্ধীর হত্যা আর পাঁচটা অপরাধের মতো নয়। এটা একটা জাতীয় সমস্যা, কোনও স্থানীয় হত্যাকাণ্ড নয়। আমাদের এই বিষয়ে স্পষ্ট মত রয়েছে। কারণ আমাদের মতে, একজন বর্তমান বা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যা, দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, পরিচয়ের সঙ্গে জড়িত। এই কারণেই সম্ভবত কেন্দ্রীয় সরকারও এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কখনও একমত হয়নি।”

এর আগে, ২০০০ সালে রাজীব গান্ধীর স্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপেই এই মামলার অন্যতম আসামী নলিনী শ্রীহরণের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়েছিল। গ্রেফতারির সময়ই নলিনী গর্ভবতী ছিলেন। পরে কারাগারেই তাঁর এক মেয়ে হয়েছিল। সনিয়া তাঁর জন্য আদালতে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছিলেন। ২০০৮ সালে রাজীব গান্ধীর কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও ভেলোর কারাগারে গিয়ে নলিনীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট ছয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামীকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়ে জানিয়েছে, কারাগারে আসামীদের আচরণ “সন্তোষজনক” ছিল। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তারা জেল খেটেছে। এই সময়ে তারা কারাগার থেকেই পড়াশোনা করে হবেশ কয়েকটি ডিগ্রিও অর্জন করেছে। তাছাড়া, তামিলনাড়ু সরকারও তাদের সাজা মকুবের সুপারিশ করেছে। ১৯৯১ সালের ২১ মে, তামিলনাড়ুর শ্রীপেরাম্বুদুরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে, এক মহিলা আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হত্যা করেছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে। তামিল বিদ্রোহীদের নিরস্ত্র করার জন্য ১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পাঠিয়েছিলেন রাজীব। তাঁর ওই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসাবেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।