Namo@71: চা বেচে সংসার চালানো থেকে কুমির ধরা, নমোর ৫ গল্প

নরেন্দ্র মোদীর ছেলেবেলা ভীষণ অভাবের মধ্যে কেটেছে। জুতো কেনার মতো টাকাও ছিল না তাঁর। একবার তাঁর মামা তাকে একটি সাদা জুতো কিনে দেন। কিন্তু সে জুতো পালিশেরও টাকা ছিল না ছোট্ট নরেন্দ্রর।

| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 4:04 PM
আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদার দাস মোদীর ৭১তম জন্মদিন। সারা দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন দেশের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটের মেহসানার এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সেজো ছেলে, দাদাদের সঙ্গে চা বেচে সংসার চালানো নরেন্দ্র যে একদিন দেশের সর্বময় কর্তা হয়ে উঠবেন, এ কথা সম্ভবত ভাবেননি কেউই। কেমন ছিল আজকের প্রধানমন্ত্রীর শৈশব? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদার দাস মোদীর ৭১তম জন্মদিন। সারা দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন দেশের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটের মেহসানার এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সেজো ছেলে, দাদাদের সঙ্গে চা বেচে সংসার চালানো নরেন্দ্র যে একদিন দেশের সর্বময় কর্তা হয়ে উঠবেন, এ কথা সম্ভবত ভাবেননি কেউই। কেমন ছিল আজকের প্রধানমন্ত্রীর শৈশব? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

1 / 6
বাচ্চাদের ভীষণই পছন্দ করেন মোদী। তাঁকে প্রায়ই স্কুলের বাচ্চাদের মুখোমুখি হতে দেখা গিয়েছে। কিছুদিন আগেই বোর্ড পরীক্ষার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করতে তিনি 'পরীক্ষা পে চর্চা' নামে একটি অনুষ্ঠান করেছিলেন, যা যথেষ্ট জনপ্রিয়ও হয়েছিল। সময় সময়ে তিনি তরুণ ছাত্রদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে তাদের পথ প্রদর্শনও করেন। ছেলেবেলা থেকেই মেধবী নরেন্দ্র পড়াশোনা ছাড়াও অন্যান্য ব্যাপারে পারদর্শী ছিলেন। স্কুল জীবনে তিনি অন্যান্য ছাত্র এবং শিক্ষকদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন।

বাচ্চাদের ভীষণই পছন্দ করেন মোদী। তাঁকে প্রায়ই স্কুলের বাচ্চাদের মুখোমুখি হতে দেখা গিয়েছে। কিছুদিন আগেই বোর্ড পরীক্ষার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করতে তিনি 'পরীক্ষা পে চর্চা' নামে একটি অনুষ্ঠান করেছিলেন, যা যথেষ্ট জনপ্রিয়ও হয়েছিল। সময় সময়ে তিনি তরুণ ছাত্রদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে তাদের পথ প্রদর্শনও করেন। ছেলেবেলা থেকেই মেধবী নরেন্দ্র পড়াশোনা ছাড়াও অন্যান্য ব্যাপারে পারদর্শী ছিলেন। স্কুল জীবনে তিনি অন্যান্য ছাত্র এবং শিক্ষকদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন।

2 / 6
নরেন্দ্র মোদীর স্কুল জীবন গুজরাটের মহেসানা জেলার বড়নগর অঞ্চলে কেটেছে। ছেলেবেলা থেকেই তিনি বক্তা হিসেবে দক্ষ ছিলেন। কৈশোর থেকেই তাঁর ভাষণ মানুষকে প্রভাবিত করত। নরেন্দ্র মোদী একজন পাখিপ্রেমীও। একবার স্কুলজীবনে তিনি এনসিসি ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। ক্যাম্প থেকে বাইরে বেরনো নিষেধ ছিল, কিন্তু তাঁর শিক্ষক গোবর্ধন প্যাটেল একটি ল্যাম্পপোস্টে চড়তে দেখেন। প্রথমে ওই শিক্ষক রেগে যান, কিন্তু পরে তিনি দেখেন যে নরেন্দ্র পোস্টে আটকা পড়া একটি পাখিকে উদ্ধার করছেন। তাঁর রাগ পড়ে যায়।

নরেন্দ্র মোদীর স্কুল জীবন গুজরাটের মহেসানা জেলার বড়নগর অঞ্চলে কেটেছে। ছেলেবেলা থেকেই তিনি বক্তা হিসেবে দক্ষ ছিলেন। কৈশোর থেকেই তাঁর ভাষণ মানুষকে প্রভাবিত করত। নরেন্দ্র মোদী একজন পাখিপ্রেমীও। একবার স্কুলজীবনে তিনি এনসিসি ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। ক্যাম্প থেকে বাইরে বেরনো নিষেধ ছিল, কিন্তু তাঁর শিক্ষক গোবর্ধন প্যাটেল একটি ল্যাম্পপোস্টে চড়তে দেখেন। প্রথমে ওই শিক্ষক রেগে যান, কিন্তু পরে তিনি দেখেন যে নরেন্দ্র পোস্টে আটকা পড়া একটি পাখিকে উদ্ধার করছেন। তাঁর রাগ পড়ে যায়।

3 / 6
নরেন্দ্র মোদীর ছেলেবেলা ভীষণ অভাবের মধ্যে কেটেছে।  জুতো কেনার মতো টাকাও ছিল না তাঁর। একবার তাঁর মামা তাকে একটি সাদা জুতো কিনে দেন। কিন্তু সে জুতো পালিশেরও টাকা ছিল না ছোট্ট নরেন্দ্রর। কিন্তু সাদা জুতোর কারণে নোংরা হওয়ার ভয় ছিল। কিশোর নরেন্দ্র ফেলে দেওয়া চকের ছোটো টুকরো কুড়িয়ে, গুঁড়ো করে পেস্ট বানিয়ে তা জুতোয় লাগাতেন। শুকিয়ে গেলে জুতোর সাদা রঙ ফেরত আসত।

নরেন্দ্র মোদীর ছেলেবেলা ভীষণ অভাবের মধ্যে কেটেছে। জুতো কেনার মতো টাকাও ছিল না তাঁর। একবার তাঁর মামা তাকে একটি সাদা জুতো কিনে দেন। কিন্তু সে জুতো পালিশেরও টাকা ছিল না ছোট্ট নরেন্দ্রর। কিন্তু সাদা জুতোর কারণে নোংরা হওয়ার ভয় ছিল। কিশোর নরেন্দ্র ফেলে দেওয়া চকের ছোটো টুকরো কুড়িয়ে, গুঁড়ো করে পেস্ট বানিয়ে তা জুতোয় লাগাতেন। শুকিয়ে গেলে জুতোর সাদা রঙ ফেরত আসত।

4 / 6
হাইস্কুল জীবনের কথা। নরেন্দ্র মোদী যে স্কুলে পড়তেন তার রজত জয়ন্তী বর্ষ ছিল। কিন্তু স্কুলের ক্লাসঘরের দেওয়াল তৈরি হয়নি, কারণ স্কুল কমিটির কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। ভাষণ আর অভিনয়ে দক্ষ নরেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেন সাহায্য করার। তিনি নিজের সতীর্থদের নিয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেন, এবং তা থেকে যে অর্থ পান, তা স্কুল কমিটিকে দেন ক্লাসঘরের দেওয়াল তৈরি করতে।

হাইস্কুল জীবনের কথা। নরেন্দ্র মোদী যে স্কুলে পড়তেন তার রজত জয়ন্তী বর্ষ ছিল। কিন্তু স্কুলের ক্লাসঘরের দেওয়াল তৈরি হয়নি, কারণ স্কুল কমিটির কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। ভাষণ আর অভিনয়ে দক্ষ নরেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেন সাহায্য করার। তিনি নিজের সতীর্থদের নিয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেন, এবং তা থেকে যে অর্থ পান, তা স্কুল কমিটিকে দেন ক্লাসঘরের দেওয়াল তৈরি করতে।

5 / 6
সংবাদ মাধ্যমের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, একবার নরেন্দ্র নিজের বন্ধুদের সঙ্গে শর্মিষ্ঠা সরোবরে গিয়েছিলেন। এবং সেখান থেকে একটি কুমিরের বাচ্চাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেই সময় তাঁর মা হীরাবেন মোদী তাঁকে বোঝান, মা আর বাচ্চাকে আলাদা করলে কী কষ্ট হয়। নরেন্দ্র মোদী মায়ের কথা বুঝে ওই কুমিরের বাচ্চাটিকে আবারও সরোবরে ছেড়ে আসেন।

সংবাদ মাধ্যমের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, একবার নরেন্দ্র নিজের বন্ধুদের সঙ্গে শর্মিষ্ঠা সরোবরে গিয়েছিলেন। এবং সেখান থেকে একটি কুমিরের বাচ্চাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেই সময় তাঁর মা হীরাবেন মোদী তাঁকে বোঝান, মা আর বাচ্চাকে আলাদা করলে কী কষ্ট হয়। নরেন্দ্র মোদী মায়ের কথা বুঝে ওই কুমিরের বাচ্চাটিকে আবারও সরোবরে ছেড়ে আসেন।

6 / 6
Follow Us: