Republic Day: দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের বিশেষ মুহূর্ত তুলে ধরে টুইট প্রধানমন্ত্রীর, দেখুন ভিডিয়ো
প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিয়োটিতে এদিনের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের বিশেষ মুহূর্তগুলি তুলে ধরা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে পালিত হল ৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। দু-বছরের করোনা-আতঙ্ক কাটিয়ে এবারে ফের আগের মতো রাজধানী, দিল্লিতে মহাসমারোহে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্যান্য বারের মতো এবারেও প্রধান অতিথি হিসাবে বিদেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। গত দু-বছর করোনার জন্য বিদেশের কোনও প্রতিনিধি আসেননি। তাই এদিনের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের বিশেষ মুহূর্তগুলি তুলে ধরে টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিয়োটিতে এদিনের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের বিশেষ মুহূর্তগুলি তুলে ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আগমনের মুহূর্ত থেকে বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলো সহ সেনাবাহিনীর ক্ষমতা প্রদর্শন তুলে ধরা হয়েছে।
Sharing highlights from today’s Republic Day programme. pic.twitter.com/JVWlbPfb0v
— Narendra Modi (@narendramodi) January 26, 2023
এদিন সাদা কুর্তা, সাদা পায়জামা ও কালো কোর্টের সঙ্গে হরেক রঙের পাগড়ি পরে মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর এই পাগড়ি যেন বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিলেন। এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ এল-সিসি। এবারেই প্রথম মিশরের প্রেসিডেন্ট কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন। তাই এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল। শুধু প্রেসিডেন্ট উপস্থিত থাকা নয়, মিশরীয় সেনাবাহিনীও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল। এছাড়া নানান ধরনের ট্যাবলোর মাধ্যমে গোটা দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে অন্যতম ছিল, বাংলার দুর্গাদালান এবং কেরলের ট্যাবলো। মূলত, নারীদের ক্ষমতায়নের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে এই দুই রাজ্যের ট্যাবলোয়।
এছাড়া এবারেই প্রথমবার নয়া দিল্লির কর্তব্যপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হয়। এটিও এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিক। দু-বছরের করোনা-আতঙ্ক কাটিয়ে এবরে পুনরায় জনসমাগমের মাধ্যমে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান পালিত হয়। প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশি অতিথি প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের অনুষ্ঠান ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করা হয়েছিল। মোতায়েন ছিল প্রায় ৬ হাজার ভারতীয় সেনাবাহিনী, এর মধ্যে প্যারামিলিটারি বাহিনী, এনএসজি-ও ছিল। এছাড়া আলাদাভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে দিল্লি পুলিশও। কেবল এদিনের অনুষ্ঠানের জন্য ১৫০টি সিসিটিভি বসানো হয়েছিল কর্তব্যপথে।