Power Ministry: নির্দিষ্ট সময় অন্তর শক্তির হিসেব রাখতে হবে বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থাগুলিকে, কড়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
Coal Shortage: বিউরো অব এনার্জি এফিসিয়েন্সি (BEE) বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অনুমোদন সাপেক্ষে শক্তি সংরক্ষণ আইন, ২০০১ অনুসারে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।
নয়া দিল্লি : কেন্দ্র বলছে কয়লার ঘাটতি (Coal Shortage) নেই। কিন্তু বিরোধীরা তা মানতে নারাজ। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্র কয়লা ঘাটতির বিষয়টি ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এইসবের মধ্যেই আজ বিদ্যুৎ মন্ত্রক (Power Ministry) থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে প্রতিটি বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থাকে (Power Distribution Companies) একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর শক্তির হিসেব (Energy Accounting) রাখতে বলা হয়েছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রক থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিউরো অব এনার্জি এফিসিয়েন্সি (BEE) বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অনুমোদন সাপেক্ষে শক্তি সংরক্ষণ আইন, ২০০১ (Energy Conservation Act, 2001) অনুসারে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।
সেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যুৎ বণ্টবনকারী সংস্থাগুলিতে কতটা শক্তি রয়েছে, তার একটি ত্রৈমাসিক হিসেব তৈরি করতে হবে। এই হিসেব করাতে হবে শংসায়িত কোনও এনার্জি ম্যানেজারকে দিয়ে। এছাড়া বছরে নির্দিষ্ট সময়ে কতটা করে শক্তি সঞ্চিত রয়েছে, তার একটি অডিটও করা হবে। আর রিপোর্টগুলি জনসমক্ষে আনা হবে।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির উপভোক্তাদের মধ্যে কীরকম বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে তারও বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হবে। এই রিপোর্ট একইসঙ্গে বিদ্যুৎ চুরি রুখতেও অনেকটা সাহায্য করবে বলে ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
একাধিক সূত্রে খবর, বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কমেছে কয়লার সরবরাহ। দেশের ৩০ টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নাকি ১ দিনের কয়লা বাকি রয়েছে বলে উঠে আসছে একাধিক রিপোর্টে। যদিও সেই সব রিপোর্ট ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে বিদ্যুৎ সচিব অলোক কুমার। তিনি আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।
আর এরই মধ্যে আজ কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Prahlad Joshi), কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরকে সিং (R K Singh)-এর সঙ্গে বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক শীর্ষ আমলাও। এনটিপিসির আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। কেন্দ্রের তরফে অবশ্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যে পরিমান কয়লা মজুত আছে তাদের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই জানানো হয়েছে। কিন্তু উদ্বেগ বেড়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে। একাধিক জায়গায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তৈরি হয়েছে বিদ্যুৎ সঙ্কট।
ইতিমধ্যেই, মহারাষ্ট্রের ১৩টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনের (Maharashtra State Electricity Regulatory Commission) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি। এর ফলে সে রাজ্যে ৩৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Coal Shortage: বাড়ছে উদ্বেগ! কয়লা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন অমিত শাহ