Bureaucrat’s Son Death: ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার IAS অফিসার, বাড়িতে তল্লাশির সময় গুলিবিদ্ধ ছেলে! বাড়ছে রহস্য
Bureaucrat's Son Death: আইএএস অফিসার সঞ্জয় পোপলির স্ত্রীর অভিযোগ, তল্লাশি চলাকালীন আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা বাধে। সেই সময়ই কার্তিককে লক্ষ্য করে গুলি চালান আধিকারিকরা।
নয়া দিল্লি: আমলা-পুত্রের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল চণ্ডীগঢ় (Chandigarh)। সঞ্জয় পোপলি (Sanjay Popli) নামে এক আমলার ছেলে কার্তিক পোপলি (২৭)-কে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুর্নীতির মামলায়। শনিবারই ওই যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, ওই যুবক নিজেই গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছে। যদিও ওই আইএএস অফিসারের দাবি, ছেলে আত্মহত্যা করেনি, তাঁকে খুন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার আইএএস অফিসার সঞ্জয় পোপলির চণ্ডীগড়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। তল্লাশি অভিযান চলাকালীনই পোপলি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বচসা বাধে। বচসা চলাকালীনই কার্তিক পোপলিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তদন্তকারী আধিকারিকরা, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আধিকারিকরা। তাদের পাল্টা দাবি, তল্লাশি চলাকালীনই নিজের বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন কার্তিক।
গত ২০ জুনই পঞ্জাবের নাওয়ারশহরের একটি নিকাশি নালার টেন্ডার ছাড়ার জন্য ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয় পোপলিকে। সেই মামলার তদন্তেই শনিবার চণ্ডীগঢ়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে যান দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। সঞ্জয় পোপলির স্ত্রীর অভিযোগ, তল্লাশি চলাকালীন আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা বাধে। সেই সময়ই কার্তিককে লক্ষ্য করে গুলি চালান আধিকারিকরা। সঞ্জয় পোপলিও বলেন, “আমার চোখের সামনে ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আমার ছেলের মৃত্য়ুর প্রত্যক্ষদর্শী আমি।”
গুলিবিদ্ধ কার্তিক পোপলিকে সেক্টর ১৬- র একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চণ্ডীগঢ়ের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট কুলদীপ চহাল জানান, তদন্তকারী দল যখন পোপলির বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিল, সেই সময়ই বাবার লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক দিয়ে নিজেকে গুলি করে কার্তিক।
ঘটনাটি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াতেই সঞ্জয় পোপলির বাড়িতে যান পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা প্রতাপ বাজওয়া, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, সুখজিন্দর রনধাওয়ার মতো নেতারা।
তদন্তকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, সঞ্জয় পোপলির বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা সহ নগদ উদ্ধার হয়েছে। ৯টি সোনার ইট, ৪৯টি সোনার বিস্কুট, ১২টি সোনার কয়েন, ৪টি মোবাইল, ২টি স্মার্ট ওয়াচ ও নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কী অভিযোগ উঠেছে আমলার বিরুদ্ধে?
আইএএস অফিসার সঞ্জয় পোপলির বিরুদ্ধেদুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, নিকাশি বোর্ডের সিইও থাকাকালীন ৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি নিকাশি প্রকল্পের টেন্ডার ছাড়ার জন্য ১ শতাংশ কমিশন চান তিনি। এরমধ্যে প্রথম কিস্তিতে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় কিস্তির জন্য চাপ দেওয়ার পরই হরিয়ানার কর্নলের ঠিকাদার পঞ্জাবের দুর্নীতি দমন হেল্পলাইনে ফোন করে অভিযোগ জানান। এরপরই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় পোপলিকে।
তদন্তকারীদের আরও দাবি, সঞ্জয় পোপলির বাড়ি থেকে টাকা, সোনা-গয়নার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোট ৭৩টি কার্তুজ, এরমধ্যে ৭.৬৫ এমএমের ৪১টি কার্তুজ, ০.৩২ বোরের ২টি কার্তুজ ও ০.২২ বোরের ৩০টি কার্তুজ রয়েছে।
অন্যদিকে, সঞ্জয় পোপলিকে গ্রেফতারের পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্ত্রী। ছেলের মৃত্যুর পরও তাদের উপর অত্যাচার করে বয়ান বদলের জন্য চাপ দেওয়া বয়েছে।