Apple Hacking: ‘আদানি ছুঁতেই শুরু ফোনে আড়ি পাতা’, বিস্ফোরক অভিযোগ রাহুল-মহুয়াদের
Opposition leaders claim hacking attempt: রাহুল দাবি করেন, দেশ চলছে গৌতম আদানির কথাতেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকেই অনুসরণ করেন। রাহুল গান্ধী জানান, বিরোধী পরিসরের বেশ কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অ্যাপল ফোন বা অন্যান্য ডিভাইস 'হ্যাক' করা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে অ্যাপলের পাঠানো সতর্কবার্তার ই-মেইলের একটি অনুলিপিও দেখান রাহুল।
নয়া দিল্লি: ‘আদানি’কে ছুঁতেই বিরোধী দলের নেতাদের ফোনে আড়ি পাতা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর), পবন খেরা, সীতারাম ইয়েচুরি, মহুয়া মৈত্রর মতো বিরোধী পক্ষের একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা তাঁদের আইফোনে আ্যাপল সংস্থার পক্ষ থেকে একটি সতর্কবার্তা পেয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, “রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট হ্যাকাররা আপনার যন্ত্রকে নিশানা করতে পারে।” অর্থাৎ, তাঁদের ফোন হ্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপরই, এই বিষয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে রাহুল গান্ধী বলেন, “আদানিকে ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের পিছনে গোয়েন্দা সংস্থা মোতায়েন করা হয়, আড়ি পাতা শুরু হয়।” তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দলের কেসি বেনুগোপাল, পবন খেরা, সুপ্রিয়া শ্রীনাতের মতো নেতারা এই সতর্কবার্তা পেয়েছেন।
রাহুল দাবি করেন, দেশ চলছে গৌতম আদানির কথাতেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকেই অনুসরণ করেন। রাহুল গান্ধী জানান, বিরোধী পরিসরের বেশ কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অ্যাপল ফোন বা অন্যান্য ডিভাইস ‘হ্যাক’ করা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে অ্যাপলের পাঠানো সতর্কবার্তার ই-মেইলের একটি অনুলিপিও দেখান রাহুল। তিনি বলেন, “আমার কার্যালয়ের অনেকেই এই বার্তা পেয়েছেন। কংগ্রেসে কেসি বেণুগোপালজি, সুপ্রিয়া, পবন খেরাও এটি পেয়েছেন। ওরা যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। হাতে গোনা মানুষ এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমরা ভয় পাই না। আপনারা যত খুশি ফোন ট্যাপ করতে পারেন, আমি পাত্তা দিই না। আপনি যদি আমার ফোনটাই নিয়ে নিতে চান, তাহলেও অসুবিধা নেই।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি পোস্ট করে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। এক্সে তিনি অ্যাপলের সতর্কবার্তার স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, “অ্যাপল থেকে টেক্সট এবং ইমেলে আমাকে সতর্ক করেছে যে সরকার আমার ফোন এবং ইমেল হ্যাক করার চেষ্টা করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অন্য কিছু করুন। আদানি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘দাদা’দের ভয় দেখে আমার তাদের জন্য করুণা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি ছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ইন্ডিয়া জোটের অখিলেশ যাদব, রাঘব চাড্ডা, শশী থারুর, প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, সীতারাম ইয়েচুরি, পবন খেরা এবং রাহুল গান্ধীর কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের ফোন হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুরো ঘটনাকে ইমারজেন্সি থেকেও খারাপ অবস্থা বলে দাবি মহুয়ার। ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি মারা যারা, তারাই আজ দেশ চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এই বিষয়ে তিনি সরকারিভাবে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন মহুয়া। বিরোধী সংসদদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে, তাঁকে রাজধর্ম পালনের আবেদন জানাবেন। ফোন হ্যাকিংয়ের চেষ্টার ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের দ্রুত তলব করার আর্জি জানাবেন। সংসদের প্রিভিলেজ কমিটিতে বিষয়টি তদন্তের আবেদন করেছেন তৃণমূল সাংসদ। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মহুয়া মৈত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিক শাহকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “গুজরাট থেকে দিল্লি যাত্রার সময় সাহেব এবং মোটা ভাই তাদের আড়ি পাতার স্বভাব সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। দয়া করে এবার বড় হন।” হ্যাকিং-এর চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে মহুয়া মৈত্র তীব্র আক্রমণ চালালেও, এখনও পর্যন্ত তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।