Congress: অবশেষে পূরণ হবে সচিনের দাবি? মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের সঙ্গে রাহুলের বৈঠকে বাড়ল জল্পনা
Rahul Gandhi Meets Ashok Gehlot: সূত্রের খবর, দিল্লির তুঘলক লেনে রাহুল গান্ধীর বাসভবনেই এই বৈঠক হয়, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই আলোচনা চলে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, কেসি বেণুগোপাল ও অজয় মাকেন।
নয়া দিল্লি: পঞ্জাবের পর এ বার কি রাজস্থানের পালা? একের পর এক রাজ্যে দলের ভাঙন রোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেস (Congress)। সম্প্রতিই দলীয় বিরোধোর জেরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন কংগ্রেসের বিশ্বস্ত যোদ্ধা অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। পদত্য়াগের পরই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগও এনেছেন দলের বিরুদ্ধে। পঞ্জাবের সিধু বনাম অমরিন্দরের মতোই একই পরিস্থিতি রাজস্থানেও। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)-র সঙ্গে প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট(Sachin Pilot)-র বিরোধের কথাও সকলের জানা। গত মাসে সচিন পাইলটের সঙ্গে দেখা করার পর এ বার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে কথা বললেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজস্থানে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বদলের কথা হয়ে আসছে। গতবছর থেকেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন সচিন পাইলট। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে বলেই দলীয় সূত্রে খবর। শনিবারই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক শেষেই আলাদাভাবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন রাহুল গান্ধী।
সূত্রের খবর, দিল্লির তুঘলক লেনে রাহুল গান্ধীর বাসভবনেই এই বৈঠক হয়, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই আলোচনা চলে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, কেসি বেণুগোপাল ও অজয় মাকেন। বৈঠকের বিষয়ে পরে প্রশ্ন করা হলে অজয় মাকেন বলেন, “বিশেষ কোনও বিষয় নয়, এটি সাধারণ একটি রুটিন বৈঠক ছিল।”
কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে এই বৈঠক নিয়ে মুখ না খোলা হলেও সূত্র অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে সচিন পাইলট মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ ও সাংগঠনিক পরিকাঠামো বদলের দাবি জানাচ্ছেন, তা নিয়ে কতটা সহমত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী, তা জানতেই গতকালের বৈঠক ডাকা হয়।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে পাইলট শিবির থেকে পাঁচজন জায়গা পেতে পারেন এবং সাংগঠনিক স্তরেও সচিন পাইলটের ঘনিষ্ঠ একাধিক জনের জায়গা হতে পারে। তবে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী খুব বেশি আগ্রহী নন বলেই জানা গিয়েছে। কংগ্রেসের হাই কমান্ডের হস্তক্ষেপেই বাধ্য হয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত মেনে নেন কিনা, তাই এখন দেখার।