Ashok Gehlot attacks center: ‘গণতন্ত্রে ঔদ্ধত্যের কোনও জায়গা নেই’ কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর
ashok gehlot: উল্লেখ্য, বিভিন্ন দাবিতে চলা কৃষকদের আন্দোলন আজই এক বছের পা দিল। সেই উপলক্ষে দিল্লি সীমান্তে সমবেত হয়েছিলেন অনেক কৃষক। সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্তে, তিনটি কৃষি আইন নিয়ে দীর্ঘ একবছর ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন কৃষকরা।
জয়পুর: কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা হয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত। কিন্তু ‘কৃষক স্বার্থে’ সরকারের এই পদক্ষেপকে এখনও খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তালিকায় সবার প্রথম দিকেই রয়েছে কংগ্রেস। জাতীয় কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারাও কেন্দ্রের শাসকদলকে কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে আক্রমণ করছে। সম্প্রতি কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন রাজস্থানের (Rajasthan) মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)।
নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে গেহলট বলেন, গণতন্ত্রে ঔদ্ধত্যের কোনও জায়গা নেই। কেন্দ্রকে তাঁর আবেদন, কৃষকদের এখনও অনেক ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে, তাদের যাবতীয় অভাব অভিযোগ শুনে সেই গুলির সমাধান করা কেন্দ্রের কর্তব্য। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে কোনও আন্দোলনই এক বছর ধরে চলে না। সরকারের উচিৎ ছিল, হয় তাদের বোঝানো নয়ত নিজদের বোঝা। এই আন্দোলন এমন জায়গায় চলে গিয়েছিল যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে সমগ্র দেশ তথা কৃষকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। তাদের এখনও ক্ষোভ রয়েছে, আমার মনে হয় কৃষিমন্ত্রীর উচিৎ তাদের সঙ্গে কথা বলা।” তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রে ঔদ্ধত্য দিয়ে কিছু জয় করা যায়না। মাথা নত করে জনগণকে বোঝানোই শাসকের কাজ। কৃষকদের বেদনার কারণ রয়েছে, তাঁরা আন্দোলনে নিজেদের সঙ্গীদের হারিয়েছেন। সরকারের উচিৎ এমন পরিবেশ তৈরি করা যেখানে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যায়।”
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দাবিতে চলা কৃষকদের আন্দোলন আজই এক বছের পা দিল। সেই উপলক্ষে দিল্লি সীমান্তে সমবেত হয়েছিলেন অনেক কৃষক। সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্তে, তিনটি কৃষি আইন নিয়ে দীর্ঘ একবছর ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন কৃষকরা। গত ১৯ নভেম্বর, গুরু নানক জন্ম জয়ন্তীর দিন, খানিক আকস্মিকভাবেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের (Repealing Farm Laws) কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও কৃষকদের মন গলেনি, সংসদে আইন বাতিলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া অবধি তারা যে পিছু হঠতে রাজি নয় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন কৃষকরা। ন্যুনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় তাঁরা। আগামী দিনে সরকারের সঙ্গে কৃষকদের বাকি সমস্যার সমাধান কীভাবে হয় বা আদৌ হয় কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।