Dattatreya Hosable: সমকামী বিবাহ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল আরএসএস
RSS on same-sex marriage: সমকামী বিবাহের বিষয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। মঙ্গলবার সাফ জানালেন সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে।
নয়া দিল্লি: সমকামী বিবাহের বিষয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস। মঙ্গলবার জানিয়েছেন, আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি বলেছেন, “বিবাহ শুধুমাত্র বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের মধ্যেই হতে পারে। সঙ্ঘ সমকামী বিবাহের বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত।” সুপ্রিম কোর্টে সমকামী বিবাহের আইনি বৈধতা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনের বিরোধিতা করে কেন্দ্র বলেছে, সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিলে ‘ব্যক্তিগত আইন এবং স্বীকৃত সামাজিক মূল্যবোধের সূক্ষ্ম ভারসাম্য নষ্ট হবে’। অন্যদিকে সোমবার, সুপ্রিম কোর্ট এই সমস্যাকে ‘অত্যন্ত মৌলিক সমস্যা’ বলে উল্লেখ করে মামলাটি বিচারের জন্য পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়েছে।
রবিবার থেকে হরিয়ানায় শুরু হয়েছে আরএসএসের তিনদিন ব্যাপী বার্ষিক সভা। সভায় যোগ দিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত-সহ ১৪০০ জনেরও বেশি পদাধিকারী। মঙ্গলবারই এই সভা শেষ হল। সভা শেষে এস সাংবাদিক সম্মেলন করেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে। সেখানেই সমকামী বিবাহের বিষয়ে সঙ্ঘের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। তবে শুধু সমকামী বিবহ বিষয়েই নয়, একইসঙ্গে ব্রিটেনে রাহুল গান্ধীর বিতর্কিত মন্তব্য এবং মুসলিম সমাজে সঙ্ঘের প্রসার ঘটানোর প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক। হোসাবলে বলেছেন, “যারা ভারতকে কারাগারে রূপান্তরিত করেছে তাদের দেশের গণতন্ত্র নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার নেই।” আর মুসলমানদের মধ্যে সঙ্ঘের প্রসারের প্রশ্নে, হোসাবলে বলেছেন, এই লক্ষ্যে আরএসএস নেতারা মুসলিম বুদ্ধিজীবী এবং আধ্যাত্মিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন।
লন্ডনে শুধুমাত্র ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়েই নয়, আরএসএস নিয়েও মুখ খুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। আরএসএস-এর তীব্র সমালোচনা করে তিনি এই সংগঠনকে একটি “মৌলবাদী, ফ্যাসিবাদী সংগঠন” বলেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের সমস্ত প্রতিষ্ঠান দখল করে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রকৃতি বদলে দিচ্ছে আরএসএস। রাহুলের এই মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে হোসাবলে বলেন, “আমি মনে করি এই নিয়ে মন্তব্য করার কোনও কারণ নেই। তারা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা অনুসরণ করে। আরএসএসের বাস্তবতা সবাই জানে। বিরোধী দলের একজন বিশিষ্ট নেতা হিসেবে তাঁর আরও দায়িত্বের পরিচয় দেওয়া উচিত।”
আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেছেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য গর্বের বিষয় ছিল ভারতের পরিচয়। সেই পরিচয় আজকের দিনে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। আগামী ২৫ বছরে, ভারতকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ও পরিকাঠামোগতভাবেই নয়, খেলাধুলা ও সংস্কৃতির মতো আরও অনেক ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের বিজয়াদশমী থেকে আরএসএস-এর শতবর্ষ উদযাপন শুরু হবে।